কুয়েতের শ্রম বাজারে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ হয়নি, বরং বিদেশি শ্রমিক নিয়োগে দেশটিতে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কুয়েতের মহামহিম আমীর শেখ সাবাহ আল আহমেদ আল সাবাহ।
বাংলাদেশ দূতাবাসের দূতালয় প্রধান কাউন্সিলর এস এম মাহবুবুল আলম এ কথা সংবাদ মাধ্যমকে জানান। তিনি বলেন, সম্প্রতি রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম কুয়েতের মহামহিম আমীরের কাছে পরিচয়পত্র প্রদানের সময় এই আশ্বাস দিয়েছেন দেশটির আমীর শেখ সাবাহ আল আহমেদ আল সাবাহ।
এর আগে, গত ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর স্থানীয় কিছু পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বাংলাদেশের পুরুষ গৃহকর্মী সরাসরি নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সেক্ষেত্রে বিশেষ অনুমতি নেয়ার সংবাদকে কিছু মিডিয়া কুয়েতে ভিসা বন্ধ শিরোনামে সংবাদ প্রচার করে। এই খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম।
তিনি আরও জানান, কুয়েতে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরে দেশটির গৃহকর্মী বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আল আজমী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ওয়েল আল রুমী সাথে বৈঠক করেছি। এরপর নিশ্চিত হয়েছি, কুয়েতে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই, শুধুমাত্র পুরুষ গৃহকর্মী নিয়োগে বিশেষ অনুমতি লাগবে।
শ্রম কাউন্সিলর আবদুল লতিফ খান জানান উক্ত সংবাদের বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও যাচাই করার লক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে গৃহকর্মী বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন। তিনি জানান, কুয়েত কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। তবে শুধুমাত্র পুরুষ গৃহকর্মী নিয়োগে বিশেষ অনুমতি লাগবে। এর আগে যে সব কুয়েতি নাগরিকদের নামে বাড়ি আছে তাদের প্রত্যেকে একজন বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে উন্মুক্ত ছিল, সেক্ষেত্রে এখন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বিশেষ অনুমতি নিয়ে গৃহকর্মী নিয়োগ দিতে পারবেন বলে জানান।
রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম বলেন, একটি মহল ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করে দু'দেশের মধ্যে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পাঁয়তারা করছে। কুয়েত প্রবাসীদের স্থানীয় আইনের প্রতি সম্মান রেখে তা মেনে চলার পরামর্শ দেন এবং সতর্ক করেন অপপ্রচার থেকে বিরত থাকতে। একই সঙ্গে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও তিনি সাংবাদিকদের জানান।
দীর্ঘ ১০ বছরের মতো কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে কুয়েতের মহামহিম আমীর বাংলাদেশে সফর করেন। সে সময় কুয়েতের শ্রম বাজার সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য খুলে দেন। তখন আরও কিছু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা বাংলাদেশের জন্য কর্মক্ষেত্রের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়।
বিডি-প্রতিদিন/১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/মাহবুব