নারায়ণগঞ্জে লঞ্চ টার্মিনালে ঘরে ফেরা যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে ও নিরাপত্তায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীরা যাতে হয়রানি না হয় সেজন্য নৌ পুলিশ ও আনসার সদস্যদের নিয়োগের পাশাপাশি রোভার স্কাউট সদস্য ও বিআইডব্লিউটিএ’র আওতাধীন ডেক এন্ড ইঞ্জিন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
নিরাপত্তার সাবিক দিক মনিটরিংয়ে থাকা বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফউদ্দিন জানান, নারায়ণগঞ্জে লঞ্চ টার্মিনালে ঘরে ফেরা যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে ও নিরাপত্তায় নৌ পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি ১২ জন আনসার সদস্যও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২০ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও বিআইডব্লিউটিএ’র আওতাধীন ডেক এন্ড ইঞ্জিন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ৪০ জন শিক্ষার্থী যাত্রীদের সেবায় ও নিরাপত্তায় নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। শনিবার নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর পরিদর্শনে এসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জের নবাগত জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। তিনি আরও জানান, মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটেও যাত্রীদের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে ৫টি রুটে ৬২টি লঞ্চ চলাচল করে থাকে। নারায়ণগঞ্জ-পটুয়াখালী রুটে সোমবার থেকে দু’টি লঞ্চ চলাচল করবে। নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জ রুটে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬-৭টা পর্যন্ত ২০ মিনিট পর পর লঞ্চ ছেড়ে যায়। এই রুটে ২৫টি লঞ্চ চলাচল করে। নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুর রুটে ১৫টি, মতলব-মাছুয়াখালী রুটে ১৯টি, হোমনা-রামচন্দ্রপুর ১টি, সুরেশ্বর-নরিয়া (শরিয়তপুর) ২টি লঞ্চ চলাচল করে থাকে।
বিডি-প্রতিদিন/১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/মাহবুব