টঙ্গীর বিসিক শিল্প নগরীর ট্যাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেড কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। রবিবার রাতে নিহত জিহাদের বাবা আবদুল কাদের বাদী হয়ে ট্যাম্পাকোর মালিক মকবুল হোসেনসহ সাত জনের নাম উল্লেখ করে টঙ্গী থানায় মামলাটি করেন।
সোমবার সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টঙ্গী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার।
উল্লেখ্য, শনিবার এই কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডে ২৪ জন নিহত হন। রবিবার হাসপাতালে একজন মারা যাওয়ার পর ধ্বংসস্তূপ থেকে চারটি এবং সোমবার সকালে আরও দু'জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে সরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে। তবে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্রথমে ছয়টি লাশ উদ্ধার করার কথা বলা হলে মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ওই হিসেবের প্রেক্ষিতে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক লে. কর্নেল মোশাররফ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আসলে মরদেহ ছয় জনের নয়, চার জনের। রাত পৌনে আটটার দিকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, লাশগুলো বিকৃত ও অংশ বিশেষ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় এই ভুলবুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, পরে আমরা যাচাই বাছাই শেষে আমাদের ভুল বুঝতে পারি।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ