নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) নেতা ও দুই বিচারক হত্যা মামলার সর্বশেষ আসামি আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের (৪৫) মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রোববার রাত সাড়ে ১১টায় আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের স্ত্রী খাদিজা খাতুনের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন কারা কর্তৃপক্ষ।
এর আগে রবিবার রাত ১০টা ৩১ মিনিটে খুলনা কারাগারে আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের এ রায় কার্যকর করা হয়। ফাঁসির পর চিকিৎসকরা তার মরদেহ পরীক্ষা করেন।
আসাদুলের ইচ্ছা অনুযায়ী তার মরদেহ বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর গ্রামের শ্বশুর বাড়িতে দাফন করা হবে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া পাহারায় অ্যাম্বুলেন্সে লাশ নিয়ে বাগেরহাটে রওয়ানা হয়েছেন তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সকালে ঝালকাঠি জেলা জজ আদালতে যাওয়ার পথে দুই বিচারককে বহনকারী মাইক্রোবাসে বোমা হামলা করে জ্যেষ্ঠ বিচারক জগন্নাথ পাঁড়ে ও সোহেল আহমেদকে হত্যা করে জঙ্গিরা।
মামলায় যাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে তারা হলো, জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমানের ভাই আতাউর রহমান সানি, জামাতা আবদুল আউয়াল, ইফতেখার হোসেন মামুন, খালেদ সাইফুল্লাহ ওরফে ফারুক।
২০০৭ সালের ২৯ মার্চ শীর্ষ এই ছয় জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। অবশিষ্ট দণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি আসাদুল ইসলাম আরিফের মৃত্যুদণ্ড আজ রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কার্যকর করা হলো।
বিডি প্রতিদিন/১৭ অক্টোবর ২০১৬/ এনায়েত করিম