চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগ।
রবিবার দুপুরে হঠাৎ শয্যা থেকে দৌঁড়ে এসে জড়িয়ে ধরলো সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. তাহমিনা বানুকে। প্রশ্রাবের সমস্যা নিয়ে ১৬ দিন আগে এ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় শিশু রাকিবকে।
রাকিবের মা শারমিন আকতার বলেন, একটু আগেই মেডাম ওয়ার্ডের সকল রোগীকে নিজ হাতেই নানা রংয়ের বেলুন বিতরণ করেছেন। তাই আমার ছেলে পরে এ চিকিৎসককে দেখে খুশি হয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরেছে।
শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. তাহমিনা বানু বলেন, প্রতি সপ্তাহেই ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা শিশু রোগীদের কিছু দিয়ে আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করি। ব্যাক্তিগত উদ্যোগ ও সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতায় রোগীদের বিনোদন দিয়ে থাকি। এর মাধ্যমে ওয়ার্ডে একটি বিনোদনের আবহ তৈরি করে। এতে শিশুরা অনেক বেশি আনন্দ উপভোগ করে।
ওয়ার্ডের ভর্তি থাকা রোগীর অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভাগের প্রধান গতকাল প্রতিটি শিশুকে দেওয়া হয় রং বেরংয়ের বেলুন, গত রবিবার দেওয়া হয়েছিল শীতের কাপড়, গেঞ্জি ও শার্ট, এর আগের রবিবারে দেওয়া হয় প্রতিজনকে এক কেজি করে দুধ, এর আগে দেওয়া হয় সাবান। এভাবে প্রতি সপ্তাহে কিছু না কিছু তিনি দিয়ে যাচ্ছেন রোগীদের।
জানা যায়, ওয়ার্ডে অনুমোদিত শয্যা ৫০টি হলেও প্রতিনিয়ত এর চেয়ে বেশি রোগী থর্বি থাকে।