সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মরদেহ হাসপাতাল থেকে ঝিগাতলার বাসায় নিয়ে আসার পর কেঁদে কেঁদে তার স্ত্রী জয়া সেনগুপ্ত বলেন, জেলে যাওয়ার পর ওই বাড়িতে একাই এসেছিলাম, আজ এই বাড়িতে একাই রয়ে গেলাম। জয়া বলেন, অগ্নিকে স্বাক্ষী রোখে সাতজনমের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া মানুষটি আমাকে রেখে এভাবে চলে যাবে ভাবতেও পারিনি।
তুমি আমায় পঙ্গু করে গেলে। আমি কি তোমায় ছাড়া কখনো চলতে পারি, নাকি পেরেছি। সামনে আমি করে চলব একবারতো বলে গেলে না। এমনতো কথা ছিল না বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহধর্মিণী। যে বিছানায় বিশ্রাম নিতেন সুরঞ্জিত সেখানে হাত রেখে বলছেন, তুমি কেন আমায় ছেড়ে গেলে আমি কিছুতে একটু শঙ্কিত হলে তুমি আমায় ভরসা দিতে। এখন আমার কি হবে। কে ভরসা দেবে।
জয়া বলেন, আমার সামনে এখন শুধু অন্ধকার। কি করব, কোথায় যাব। কার কাছে যাব তুমি কিছুই বলে গেলে না।
উল্লেখ্য, ১৯৪৬ সালে সুনামগঞ্জের আনোয়ারাপুরে জন্ম নেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। দ্বিতীয়, তৃতীয়, পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম জাতীয় সংসদসহ মোট সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এই প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান।