একুশের প্রথম প্রহর। গত সোমবার রাত ১২ টা। চট্টগ্রাম মহানগরের আকবর শাহ থানাধীন নগরীর কর্ণেলহাট এলাকার ড্রেনে এক নবজাতককে পড়ে থাকতে দেখেন কয়েকজন তরুণ। তাৎক্ষণিক থানায় ফোন দেন তারা। থানার ওসির নির্দেশে নবজাতককে উদ্ধার করে হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগে নিয়ে যান। হাসপাতালের সেবায় শিশু এখন সুস্থ। ওই ওসিই শিশুর নাম রাখেন একুশ।
আকবর শাহ থানার ওসি আলমগীর মাহমুদ বলেন, একুশের প্রথম প্রহরে সবাই যখন একুশ উদযাপনে ব্যস্ত, তখনই নবজাতকটির কান্নার শব্দ শুনতে পান কয়েকজন তরুণ। পরে আমরা নবজাতকটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। একুশের রাতে উদ্ধার হওয়ায় শিশুটির নাম রেখেছি একুশ।
জানা যায়, শিশুকে উদ্ধারের পর প্রথম নগরীর আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে শয্যা খালি না থাকায় শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় চমেক হাসপাতালের ৩২ নাম্বার ওয়ার্ডে। শিশুটিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
বৃস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি থাকা অন্তত ২০ জন শিশু রোগীর মা শিশুটিকে বুকের দুধ দিতে আগ্রহ দেখান। এর মধ্যে চিকিৎসকদের নির্ধারিত দুইজন মা নবজাতকটিকে নিয়মিত বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম এস এম মাসুদ পারভেজের আদালতে নবজাতককে উদ্ধার করা নিয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন আকবর শাহ থানার ওসি। মহানগর হাকিম নবজাতকের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে চমেক হাসপাতালের পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে নবজাতককে পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা দিতে আকবর শাহ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন বলে আদালত সূত্রে জানা যায়।
ওসি আলমগীর মাহমুদ বলেন, নবজাতকের নিরাপত্তা এবং সার্বিক পরিচর্যার বিষয় সমন্বয়ের জন্য আকবর শাহ থানার একজন এস আই এর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম সার্বক্ষণিকভাবে হাসপাতালে রাখা হয়েছে। পরে হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দিলে আদালতের নির্দেশনা মতে কোন এক মায়ের হাতে শিশুটিকে তুলে দেওয়া হবে।