বিডিআর ট্র্যাজেডি স্মরণে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ শুক্রবার দুপুরে নয়া পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
রিজভী বলেন, 'শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পিলখানা হত্যা দিবস। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার যে নির্মম ও মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে তা জাতির জন্য খুবই বেদনাদায়ক ও শোকাবহ। আমাদের গৌরব উজ্জ্বল সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধে দেশ স্বাধীন করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারিতে হত্যা করা হয়েছে চৌকস ও মেধাবী ৫৭ জন কর্মকর্তাকে। তাদের পরিবার-পরিজনকে নির্যাতন, লাঞ্ছিত ও অপমানিত করা হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এমনকি অনেক যুদ্ধেও এত সেনা কর্মকর্তা একসঙ্গে নিহত হননি। পূর্ব পরিকল্পিত পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অনেকের সাজা হয়েছে, আবার অনেকেই অধরায় থেকে গেছেন। এই মর্মান্তিক ঘটনার সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের অনেকের জড়িত থাকার কথা শোনা গেলেও সেগুলোকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে রিজভী বলেন, 'পুরো বিষয়টি এখনও রহস্যের কুয়াশায় ঢাকা। একটি জাতি স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার প্রতীক সেনাবাহিনীকে এভাবে দুর্বল করার আন্তর্জাতিক চক্রান্ত থাকতে পারে। পিলখানা ট্র্যাজেডির উচ্চ পর্যায়ের একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে এর রহস্য উদঘাটন করা উচিত। আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র পক্ষ থেকে পিলখানায় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের হত্যাকাণ্ডের দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণার জোর দাবি জানাই।'
এ সময় রিজভী গ্যাসের দাম বৃদ্ধির গণবিরোধী পদক্ষেপ প্রত্যাহারেরও দাবি জানান।
বিডি প্রতিদিন/২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/এনায়েত করিম