রাজধানীর শাহজাহানপুরের রেলওয়ের পানির পাম্পের পাইপে পড়ে শিশু জিহাদের (৩) মৃত্যুর মামলায় রায় রবিবার ধার্য করেন বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান যুক্তি উপস্থাপন শেষে এ দিন ধার্য করেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ১১ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
মামলায় জামিনে থাকা সকল আসামিরা হলেন- ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসআর হাউসের মালিক মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে আবদুস সালাম, রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, কমলাপুর রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জাফর আহমেদ সাকি, সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) দীপক কুমার ভৌমিক ও সহকারী প্রকৌশলী-২ মো. সাইফুল ইসলামসহ ছয়জন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় শিশু জিহাদ পাইপের মধ্যে পড়ার খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। রাতভর ফায়ার সার্ভিস তাদের উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে ব্যর্থ হয়। পরের দিন দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান শিশুটি পাইপে নেই বলে ঘোষণা দিয়ে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করেন। পরে শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ করেন মজিদ, লিটু ও আনোয়ার নামের তিন ব্যক্তি। তাদের তৈরি একটি ক্যাচারের মাধ্যমে জিহাদকে টেনে তোলা হয়। ঘটনার পর জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন ফকির ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর একটি মামলা করেছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার