আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, যখন জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকে তখনই দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা ভাল থাকে। মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়নও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ানোসহ তাদের সন্তান ও নাতি-নাতনীদের বিশেষ কোটায় চাকরি, পড়ালেখার বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে শরিয়তপুর জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা এসেছে। আজকে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক-এটা জাতির জনকের অবদান। জাতির জনকের নেতৃত্বে ও নির্দেশে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখেছিল বলেই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর '৭৫ থেকে '৯৬ সালের আগে যারাই ক্ষমতায় এসেছিল তারা মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করেনি। কারণ তারা কেউ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ছিল না। বিএনপি তো দেশের স্বাধীনতাই মানে না। সে কারণে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করেনি।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর ১৯৯৬ সালে জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে প্রথমবারের মতো মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণের উদ্যোগ গ্রহন করেন। মৃত্যুর পর গার্ড অব অনার প্রদান, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, পরিবারের সদস্যদের চাকরির বিশেষ কোটা ব্যবস্থা চালু করেন। এরপর আবার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ানোসহ নানা কল্যাণমুখী কাজ হাতে নেন। এখন দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা ভাল আছেন। শামীম বলেন, আজকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে আঘাত হানার চেষ্টা করা হচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীরা বসে নেই। আমাদের মনে রাখতে হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকলেই দেশ এগিয়ে যায়। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ পরাজিত করতে পারবে না।
এসময় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাসির উদ্দিন প্রাইক, জাহানউল্লাহ হাওলাদার, মোসলেম উদ্দিন মাস্টার, মোশাররফ হোসেন মুছা, শাহজাহান বুলি, লুৎফর রহমান ঢালি, জসিম উদ্দিন প্রমুখ। সভায় লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক টিংকু, শরিয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা আওয়ামী লীগ এবং মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ