রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ‘সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ’ মনোনীত প্রার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয় লাভ করেছেন। নির্বাচনে ২১টি পদের মধ্যে তারা সাধারণ সম্পাদকসহ ১৫টি পদে জয়লাভ করেছেন।
আর ‘জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ’ মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে জয় পেয়েছেন পাঁচজন। তবে সভাপতি পদে দুই প্যানেলের প্রার্থীই সমান সংখ্যক ভোট পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার এবিএম মশিউজ্জামান।
সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ থেকে বিজয়ীরা হলেন- সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক, সহ-সভাপতি সুনির্মল সাহা, সৈয়দা মর্জিনা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজী শওকত সালেহীন এলেন, হিসাব সম্পাদক আখতারুল আলম বাবু, লাইব্রেরী সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, অডিট সম্পাদক হেলাল আহমেদ, প্রেস অ্যান্ড ইনফরমেশন সম্পাদক জালাল উদ্দীন এবং সদস্য মুনসুর রহমান, আসির উদ্দীন, শফিকুল ইসলাম রেন্টু, মিজানুর রহমান বাদশা, ইমাম হাসান, শেখ তোজাম্মেল আহমেদ ও সাদিকুল ইসলাম।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ থেকে নির্বাচিতরা হলেন- সহ-সভাপতি জানে আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূর-এ-কামরুজ্জামান ইরান, ম্যাগাজিন অ্যান্ড কালচার সম্পাদক মনোয়ারা বেগম এবং সদস্য আমজাদ হোসেন ও মোজাম্মেল হক।
তবে সভাপতি পদে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রার্থী লোকমান আলী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের প্রার্থী মোজাম্মেল হক ২৫৪টি করে ভোট পেয়েছেন। তাদের মধ্যে টাই হয়ে যাওয়ায় আগামী রবিবার সভাপতি পদের ভোট পুনঃগণনা করা হবে। তাতেও দু’জনের সমান সংখ্যক ভোট থাকলে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়। মাঝে দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টার বিরতি রাখা হয়। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। পরে রাতে ফল ঘোষণা করা হয়। ভোট গ্রহণ করা হয় আদালত চত্বরের ১ নম্বর বার ভবনে। মোট ১৫টি বুথে সুষ্ঠুভাবেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
নির্বাচনে এবার ৫৫৪ জন ভোটার ছিলেন। নির্বাচনে ২১ পদের বিপরীতে মোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৬ প্রার্থী। দুই প্যানেলের বাইরে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে লড়েন চার প্রার্থী। তবে তাদের কেউই জয়ের মুখ দেখতে পারেননি।