র্যাবের নির্মাণাধীন সদর দফতরে শুক্রবার আত্মঘাতী হামলায় মৃত্যু হয় হামলাকারীর। শুক্রবার রাতেই ওই আত্মঘাতীর লাশ ঢামেক মর্গে আনা হয়। শনিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষ হয়। লাশের ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে বিস্মিত হয়েছেন ডা. ঢামেকের ফরেনসিক মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ। তিনি বলেন, এর আগে অন্য জঙ্গিদের লাশেরও ময়নাতদন্ত করেছি। বিস্ফোরণের ধরনের কিছু মিল আছে। তবে এতটা ছিন্নভিন্ন দেহ এর আগে আর দেখিনি।
ডা. সোহেল মাহমুদ এবং একই বিভাগের প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস শনিবার ১১টার দিকে মর্গে ময়নাতদন্ত শুরু করেন।
ময়না তদন্ত শেষে সাংবাদিকদের সোহেল মাহমুদ বলেন, বিস্ফোরণে নিহত ব্যক্তির বুক ও পেট ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। তার পেটে বেল্ট বাধা ছিল। কাতের কনুই পর্যন্ত অংশ উড়ে গেছে। দেহের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে বোমা বিস্ফোরণেই সে মারা গেছে। তার পেটে ইলেকট্রিক ওয়ার পাওয়া গেছে। কাপড়চোপড় পেটের ভেতর ঢুকে গেছে। তিনি আরও জানান, ডিএনএ টেস্টের জন্য ওই আত্মঘাতী হামলাকারীর দাঁত, চুল ও ভিসেরা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার লিভার ও পাকস্থলীর কিছু অংশ পাওয়া গেছে। একটা কিডনি আছে। হামলার আগে সে শক্তিবর্ধক কিছু খেয়েছিল কিনা জানতে রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে।
সোহেল মাহমুদ জানান, তার নেতৃত্বে ফরেনসিক মেডিসিনের প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস ও প্রভাষক ডা. কবীর সোহেলকে নিয়ে একটি ময়নাতদন্ত বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের মাধ্যমে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুর ১টা ১০ মিনিটে আশকোনায় র্যাবের নির্মাণাধীন সদর দফতরে দেয়াল টপকে প্রবেশ করে এক যুবক। র্যাব সদস্যরা তাকে চ্যালেঞ্জ করলে সে আত্মঘাতী বিষ্ফোরণ ঘটায়। বোমা বিস্ফোরণে তার শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এতে দু'জন র্যাব সদস্যও আহত হন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ