বকেয়া বেতন প্রদানের আশ্বাসে ৭দিনের কর্মবিরতি ভেঙ্গে কাজে যোগ দিয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। নগরীতে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনার স্তুপ অপসারন করার কাজ শুরু করেছে নগর ভবনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। এতে নগরজীবনে ফিরে আসছে স্বাচ্ছন্দ।
গত রবিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়র পর আজ সোমবার সকাল থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে যোগ দেন।
গত ২৭ তারিখ থেকে বিসিসি’র কর্মকর্তা কর্মচারীরা বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে অনির্দিস্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিলে অচল হয়ে পড়ে নগরভবন সহ পুরো নগর। বর্জ্য অপসারণ বন্ধ থাকায় দুর্গন্ধের নগরীতে পরিণত হয় বরিশাল।
সোমবার সকাল থেকে পরিছন্নতা কর্মীরা নগরীতে স্তুপ হয়ে থাকা বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করে। বিকেল পর্যন্ত বিরামহীনভাবে নগর পরিচ্ছন্ন কাজ করে তারা। নগর ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এদিন নিজ নিজ দপ্তরে কাজ করেছেন।
দুপুরে নগরী ঘুরে দেখা গেছে, সদর রোড, নগর ভবনের চারপাশ, ফজলুল হক এভিনিউ, হাসপাতাল রোড, ব্রজমোহন কলেজ সম্মুখ, অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়, নতুন বাজার, আলেকান্দা, বাংলাবাজার, পুরান বাজার, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের পেছনে, বিএম স্কুলের সম্মুখ সহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বর্জ্য অপসারণ করছে করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।
নগর ভবনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. মতিউর রহমান জানান, "সাত দিনের বর্জ্য তো একদিনে অপসারণ করা সম্ভব নয়। কর্মীরা পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক থেকে বর্জ্য অপসারণ হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব এলাকার বর্জ্য অপসারন করা হবে।"
এদিকে এই আন্দোলনের নেতা পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা দীপক লাল মৃধা জানান, "গতকাল বকেয়া বেতনের একটা চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। আরও একটি চেক ২৫ এপ্রিল দেওয়া হবে। আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নগর পরিচ্ছন্ন কাজে যোগ দিয়েছি। আগামী দুই এক দিনের মধ্যে পুরো নগরের বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হবে।"
সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল বলেন, "বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে আন্দোলনের ফলে নগরবাসী দুর্ভোগে পড়েছিল। নাগরিক দুর্ভোগ কমাতে শ্রমিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে বৈঠকে সমঝোতা হওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। দ্রুত নগরী পরিচ্ছন্ন করার জন্য কর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।"
বিডি-প্রতিদিন/ ৩ এপ্রিল, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১৮