চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবি এলাকাটি চট্টগ্রামের অপরুপ এক বিনোদন স্পট হিসেবে রুপান্তরিত হচ্ছে জানিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি বলেছেন, চট্টগ্রাম হচ্ছে সুন্দরের রাণী। এখানকার মত পাহাড়ঘেরা সবুজ পরিবেশ কোথাও পাওয়া যাবে না। কিন্তু চট্টগ্রামের জনগণের বিনোদনের জন্য পরিকল্পিতভাবে কোন পার্ক গড়ে উঠেনি। এখানকার সৌন্দর্য প্রত্যেক শ্রেণির পেশার মানুষকে একদিকে মানসিক প্রশান্তি দিবে, অপরদিকে প্রকৃত পিপাসুদের হৃদয়ে স্থান করে নিবে এ এলাকাটি। এছাড়া শিশুদের খেলাধুলার করার ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে।
বৃহস্পতিবার সকালে সিআরবিস্থ সাত রাস্তার মোড়কে ঘিরে গড়ে তোলা দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এছাড়া শুক্রবার এ সিআরবিতে পহেলা বৈশাখ উদৎযাপনের জন্য শত শত বিনোদনপ্রেমী মানুষের ঢল নামবে। এতে এখানে শিরিষতলায় পহেলা বৈশাখ উদৎযাপন পরিষদের উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করেছে প্রশাসন।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. আবদুল হাই’র সভাপতিত্বে এসময় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন দৈনিক আজাদী পত্রিকার সম্পাদক এম এ মালেক, দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকার পরিচালনা সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল। উদ্বোধন শেষে অতিথিরা সিআরবির বিভিন্ন স্থান পরির্দশন করেন এবং রেলের জিএম দপ্তরে রেলের উন্নয়ন ও সুন্দর্যবর্ধণসহ নানাবিধ বিষয়ে দিক-নির্দেশনামুলক আলোচনা করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফজলে করিম চৌধুরী।
ফজলে করিম চৌধুরী এমপি আরো বলেন, নগরে এখন গাছ নেই। মানুষ হাঁটার জন্য কোন ফুটপাত নেই। তাই সিআরবির ছাড়া ঘেরা স্থানটিকে মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। যাতে হাঁটতে পারে। বসে কিছুক্ষণ সময় কাটাতে পারে। এখানে যারা আসবেন আশা করি তারা এলাকার পরিবেশ সুন্দর রাখবেন। এটি রেল কর্তৃপক্ষ দেখাশুনা করবে। সবাই মিলে এ শহরকে সুন্দর রাখতে হবে। ওয়াকওয়ে ও সৌন্দর্যবর্ধন করে রেলের কিছু খরচ হলেও মানুষ উপকৃত হবে। সিআরবি এলাকায় লোকসমাগম বৃদ্ধি পাওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। সড়কের উভয়পাশে অতিরিক্ত লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আজাদীর নির্বাহী সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক, রেলওয়ে পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম, রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ঈশা-ই-খলিল, প্রধান পরিবহন কর্মকর্তা মিয়া জাহান, প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা সরদার শাহাদাত আলী, প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান (আরএনবি) ইকবাল হোসেন, চিফ পারসোনাল অফিসার অজয় কুমার পোদ্দার, রেল কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান, রেলের জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্তি দায়িত্ব) মোহাম্মদ খালেদ, জিআরপি ওসি শহিদুল ইসলাম, রাউজানের উরকিরচর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার সোহেল, আওয়ামীলীগ নেতা দুলাল বড়ুয়া, শ্যামল পালিত, ইরফানুল হক চৌধুরী, কামরুল হাসান বাহাদুর, রাউজানের সাবেক কাউন্সিলর শামিমুল ইসলাম শামু, রাউজান পুজা কমিটির নেতা সুমন দে, ম্যালকম চক্রবর্তী, উত্তর জেলা যুবলীগ নেতা সারজু মো. নাছের, রেলশ্রমিক লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম, লোকমান হোসেন, কামাল পারভেজ বাদল প্রমুখ।