সীমান্তে অপ্রয়োজনীয় গুলিবিনিময় বন্ধ, বর্ডার হাট নির্মাণ, শিশু-নারী পাচার রোধ, ফেনী নদীর পানি বণ্টন ও মাদক চোরাচালানরোধসহ প্রায় ৪০টি আলোচ্যসূচি নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারত জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে ৬ নম্বর ক্লাস্টারের যৌথ সীমান্ত সম্মেলন। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস মিলানায়তনে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন বৃহস্পতিবার দুপুরে শেষ হয়।
সম্মেলনে বাংলাদেশের হয়ে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনী ও খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক, বিজিবি-পুলিশের কর্মকর্তাসহ অন্যান্য প্রতিনিধি এবং ভারতের হয়ে গোমতি ও দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার ম্যাজিস্ট্রেটসহ বিএসএফ এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন এবং ভারতীয় দলের নেতৃত্ব দেন দক্ষিণ ত্রিপুরার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর চন্দ্র কুমার জামাতিয়া। সম্মেলনে অংশ নেন চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার সোমনাথ হালদার।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান মো. সামসুল আরেফিন বলেন, ‘দুদেশের মধ্যে বিভিন্ন আলোচ্যসূচি নিয়ে জেলা পর্যায়ে ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে। অনেক বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। একই সঙ্গে যেসব বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রয়োজন সেসব বিষেয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছি। এরকম সভার মধ্যে দিয়ে দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়ন হবে।’
তিনি বলেন, ‘বৈশাখ, ঈদ-পূজোসহ কমন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসব আনন্দ পরস্পরের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেব। পাশাপাশি আত্মীয়স্বজনের কাছে মৃতদেহ যাতে দ্রুত আনা যায় সেক্ষেত্রেও উভয় দেশ সহযোগিতা করবে। এতে করে বর্ডারের আশেপাশে যারা বসবাস করেন তাদের মধ্যে সম্পর্ক বাড়বে। ফেনী নদীতে ব্রিজ ও সীমান্তে পিলার নির্মাণসহ দুই দেশের পারস্পরিক কাজগুলো সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করা হবে।’
ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতা দক্ষিণ ত্রিপুরার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর চন্দ্র কুমার জামাতিয়া বলেন, দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছি। এর ফলে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন হবে।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন