রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস, গেইট লক, বিরতিহীন কিংবা স্পেশাল সার্ভিস বন্ধের বিষয়টি আজ শনিবার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু অনেক পরিবহনই নতুন আইন মানছে না। আগে লোকাল চললে অনেক পরিবহন ইচ্ছে করেই আজ থেকে সিটিং সার্ভিস কার্যকর করেছে। অথচ আজ থেকে সবগুলো পরিবহনের লোকাল হওয়ার কথা।
সায়েদাবাদের এক যাত্রী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, আমি নিয়মিত রাইদা পরিবহনে যাতায়াত করি। যখন এই আদেশ ছিল না, তখনই এই পরিবহন সিটিং সার্ভিসের নাম করে প্রায়ই লোকালের মতো চালাতো। প্রতিনিয়ত যাত্রী উঠত-নামত। অথচ আজ লোকাল হওয়ার কথা কিন্তু আজ থেকে তারা সিটিং শুরু করেছে। এমনকি রাইদা পরিবহনের গেটগুলো বন্ধ করে সিটিং চালাচ্ছে। জিজ্ঞেস করলে বলছে, 'বেশিরভাগ যাত্রীরা চায়। তাই লোকাল চালাচ্ছি না।'
এদিকে, রাইদা পরিবহনের যাত্রীরা জানান, এ গাড়ির কর্মীরা নিজেদের ইচ্ছামতো আইন করছে। আমাদের কথা শুনছে না। তারা এখন গেটলক সিটিং সার্ভিস চালুর চেষ্টা চালাচ্ছে। অথচ কথা ছিল আজ থেকে তারা লোকাল চালাবে। পোস্তগোলা টু উত্তরা-গাজীপুর রুটের আরও বেশ কয়েকটি পরিবহন সিটিং সার্ভিস বন্ধের আদেশ মানছেন না।
১৫ এপ্রিল থেকে সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা করে ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতি। গত ৪ এপ্রিল দেয়া ওই ঘোষণায় সমিতির পক্ষ থেকে বিআরটিএ নির্ধারিত চার্ট অনুসরণ করে ভাড়া আদায়ের কথা বলা হয় গণপরিবহনগুলোকে। কিন্তু শনিবার বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েতুল্লাহ বলেছেন, আজ বিকেলে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের মিটিং হবে এবং আগামীকাল রবিবার থেকে সিটিং সার্ভিস বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বিডি প্রতিদিন/১৫ এপ্রিল, ২০১৭/ফারজানা