চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সড়কে নির্মাণাধীন আলোচিত সেই তিন সেতুর কাজ পরিদর্শন করলেন।
রবিবার দুপুরে তিনি সেতু তিনটি পরিদর্শনে যান।
তিন সেতুর মধ্যে পতেঙ্গা ১৫ নম্বর ঘাট এলাকায় নির্মাণাধীন সেতুর প্রথম গার্ডার ঢালাইয়ের কাজ, ৯ নম্বর গুপ্তখাল এবং রুবি সিমেন্ট কারখানার কাজ দ্রুতগতিতে চলছে বলে জানা যায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী, জাইকার প্রকল্প পরিচালক শহীদুল ইসলাম, চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়ব, জাইকার কোয়ালিটি কনট্রোল ইঞ্জিনিয়ার তফাজ্জল হোসেন, সিনিয়র ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, মেয়র কাজের অগ্রগতি দেখতে সরেজমিন দেখতে আসেন। কাজের অগ্রগতি দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে কাজের গুণগতমান নিশ্চিত করেই দ্রুতগতিতে নির্মাণকাজ এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, জাইকার অর্থায়নে ৭ নং জেটি ব্রিজ প্রায় ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা, ৯নং গুপ্তখাল ব্রিজ প্রায় এক কোটি ৮৫ লাখ টাকা এবং ১৫ নং খালটি প্রায় ৫ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বোট ক্লাবে ‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার’ উদ্বোধনের পর প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বিমানবন্দর ভিআইপি সড়ক ও ওই সড়কের নির্মাণাধীন তিনটি ব্রিজ নির্মাণে বিলম্ব দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে ‘কেন রাস্তার এমন অবস্থা হয়েছে এবং কার অবহেলায় হয়েছে’ তার কারণ জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পরে চসিক এ তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনজন তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, তিনজন নির্বাহী প্রকৌশলী, তিনজন সহকারী প্রকৌশলী এবং তিনজন উপ সহকারী প্রকৌশলীকে দায়িত্ব প্রদান করে। ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ব্রিজগুলো নির্মাণের কথা থাকলেও নানা জটিলতায় কাজ শেষ হয়নি। তবে চলতি অর্থবছরে কাজ শেষ করার উদ্যোগ নেয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন