রাজধানীর আব্দুল্লাহপুরে ‘নীলা আবাসিক হোটেলে’ খুন হওয়া পুষ্প রানীর (৪৫) সঙ্গে স্বামী পরিচয়ে কক্ষ ভাড়া নেওয়া যুবকের পরিচয় হাতে এসেছে পুলিশের। তাকে গ্রেফতার করা এখন সময়ের ব্যাপার বলে দাবি করছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, দুর্জয় নাম দিয়ে ওই যুবক পুষ্প রানীকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে হোটেলে উঠলেও তার আসল নাম লিটন কুমার সরকার ( ৩০)। বাড়ি গাজীপুরের কালিগঞ্জে। তিনি বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক। তার জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। তাকে যেকোনো মুহূর্তে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ওই হোটেলে উঠার পর মঙ্গলবার ভোর রাতে পুষ্প রানীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগের দিন গত ১৭ এপ্রিল (সোমবার) সন্ধ্যার পর হোটেলটিতে উঠেছিলেন তারা। এ ঘটনায় স্বামী পরিচয় দেয়া ওই যুবককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। হোটেলে উঠার সময় ওই নারী সঙ্গে নাতনীকেও নিয়ে গিয়েছিলেন। হত্যার পর ওই শিশুকে নিয়েই পালিয়েছে হত্যাকারী।
গত ১৮ এপ্রিল (মঙ্গলবার) ভোররাতে আব্দুল্লাহপুরের ওই আবাসিক হোটেলের ৪র্থ তলা থেকে পুষ্প রানীর গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। মরদেহ উদ্ধারের পর পুষ্পের স্বামী জগদীশ চন্দ্র শীল বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় হত্যা মামলা (মামলা নং ২৮) দায়ের করেন।
উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জানে আলম বলেন, নিহত পুষ্প রানীর বাবা মৃত হরিভক্ত চন্দ্র শীল। গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ, সাখবুনিয়া। স্বামীর দিনেশ চন্দ্র শীলের সঙ্গে বাড্ডা লিংরোড, গুদারাঘাট এলাকায় থাকতেন পুষ্পা। বাড্ডায় তাদের সেলুন রয়েছে। পুষ্প রানীর পরিবারের সঙ্গে আগে থেকে পরিচয় ও যোগাযোগ ছিল সন্দেহভাজন হত্যাকারী লিটন কুমার সরকারের।
হত্যার পেছনে সম্ভাব্য তিনটি কারণকে সামনে রেখে তদন্ত শুরু করছে পুলিশ। এগুলো হলো- ওই যুবক ও নিহত নারীর পরকীয়া সম্পর্ক, আর্থিক লেনদেন এবং ওই যুবকের সঙ্গে নিহত নারীর মেয়ের অবৈধ সম্পর্ক।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ