গাজীপুরের টঙ্গী সাতাইশ এলাকায় সহপাঠীদের ছুরিকাঘাতে মো. ফেরদৌস আহম্মেদ (১৪) নামের এক স্কুলছাত্র খুন হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে।
ফেরদৌস আহম্মেদ পরিবারের সঙ্গে ওই এলাকার সিরাজ-উদ-দৌলা পাঠানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তিনি স্থানীয় সাতাইশ উচ্চ বিদ্যালয়ে বাণিজ্য শাখায় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ ও নিহতের মা রহিমা বেগম জানান, ঘটনার দিন রাত ৮টা দিকে ফেরদৌস ও তার বন্ধু আতিক পাশ্ববর্তী আদর্শ কিন্ডার গার্টেন স্কুলে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে যায়। সেখানে সহপাঠীরা ফেরদৌসের গায়ে বালু ছিটিয়ে দেয়। এ নিয়ে ফেরদৌস ও তার বন্ধু আতিকের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ সহপাঠীরা ফেরদৌসের পেটে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাত করে। বন্ধু আতিক সাহায্যের জন্য এগিয়ে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে গুশুলিয়া ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফেরদৌসকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে রাত সাড়ে ১০টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ফেরদৌস ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানা এলাকার অলহরি গ্রামের আশরাফুল আলম শিপনের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের মা রহিমা বেগম বাদী হয়ে টঙ্গী থানায় তিনজনকে আসামী করে মামলা করেছেন।
টঙ্গী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফিরোজ তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বালু ছিটানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাঁধে। একপর্যায়ে সহপাঠীরা ফেরদৌসকে ছুরিকাঘাত করে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/২১ এপ্রিল, ২০১৭/ফারজানা