দুর্বৃত্তদের আগুনে ঝলসানো শরীর নিয়ে টানা ৪ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন কলেজছাত্রী সোনিয়া আক্তার (১৯)। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সোনিয়া মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বড় বালুয়াকান্দি গ্রামের মো. শহিদুল্লাহ মিয়ার মেয়ে। গজারিয়া ডা. আব্দুল গাফফার স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। পরীক্ষার পরপরই সোনিয়ার খালাতো ভাই হারুন-অর রশীদের সঙ্গে তার বিয়ের অনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল।
গজারিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেদায়েতুল ইসলাম ভূইয়া জানান, গত সোমবার সকালে নিজ বাড়ির কলপাড়ে গেলে ওতপেতে থাকা কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। তখনই তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে এনে ভর্তি করা হয়। দুই দিন চিকিৎসার পর গত রাতে সে মারা যায়।
ওসি জানান, প্রাথমিকভাবে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পেরেছি মেয়েটি খুব সুন্দরি ছিল। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে কোনো যুবক হয়তো এ কাজ করেছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে।
এ ঘটনায় সোনিয়ার মা হাজেরা বেগম অজ্ঞাতনামা চার/পাঁচ জনকে আসামি করে হত্যা মামালা দায়ের করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ