কুমিল্লার দাউদকান্দিতে সন্ত্রাসী হামলায় উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন রাজন নিহতের ঘটনায় ২৪ জনের নামে মামলা হয়েছে।
রবিবার নিহতের বড় ভাই বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে এই হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ২০ জনের নাম উল্লেখ এবং ৪ জনকে অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে। একই সঙ্গে এই মামলার আসামি অপুকে (২৬) গ্রেফতার করে কুমিল্লার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে রবিবার দুপুরে রাজনের নিজ গ্রাম দাউদকান্দি পৌরসভার কাজিরকোনা ঈদগাহ মাঠে হাজারো নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে বাদ জোহর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে, নিহতের লাশ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। এ সময় তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার ও একমাত্র ছেলে রাজও কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
নিহত যুবলীগ নেতার বড় ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ৮৭ সাল থেকে ছাত্র রাজনীতি করে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর রাজনীতি করে বিরোধী দলে থাকাকালে হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। এবার বড় উপহার পেয়েছি আমার ভাইয়ের লাশ।
উল্লেখ্য, শনিবার দাউদকান্দি উপজেলা সদরের বলদাখাল রাস্তার মোড়ে যুবলীগ নেতা আমির হোসেন রাজনকে দিনে-দুপুরে একদল সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দাউদকান্দি মডেল থানার উপ-পরিদশক মাহবুবুর রহমান ২৪ জনের মামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ মে, ২০১৭/মাহবুব