পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি নগরীর ৩০টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় চিহ্নিত করেছে। যেখানে বৈধ-অবৈধভাবে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে আসছেন অনেকেই। বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে ঝুঁকিপূর্ণ এই পাহাড়ে বসবাসকারীদে উচ্ছেদে এবারও মাঠে নামছে প্রশাসন। কমিটি সিআরবি পাহাড়ের পাদদেশ, টাইগারপাস-লালখান বাজার পাহাড়, টাইগারপাস মোড়ের দক্ষিণ-পশ্চিম মোড়, মোজাফ্ফর নগর পাহাড়, কাট্টলী থেকে সীতাকুণ্ড পাহাড়, সলিমপুর বাস্তুহারা পাহাড়, প্রবর্তক পাহাড়, গোলপাহাড়, ইস্পাহানী পাহাড়, বনগবেষণা পাহাড়, জয়পাহাড়, চট্টেশ্বরী হিল, মতিঝর্ণা, বাটালি হিলসহ ৩০টি পাহাড় ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এদিকে, অতি বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামে প্রায় বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসের কারণে প্রাণহানি ঘটে। ২০০৭ সালে পাহাড় ধসে মারা যায় ১২৭ জন। এরপর থেকেই ঝুঁকি এড়াতে প্রশাসন অন্যত্র পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও পাহাড়ে বসবাসকারীরা পুনরায় পাহাড়েই ঠিরে আসে।
সোমবার পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসকারীদের উচ্ছেদে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান। পাহাড়গুলোতে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে ঘোষণা দেন।
এছাড়া নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মধ্য দিয়ে এসব পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।