চট্টগ্রাম মহানগরীর উত্তর আগ্রাবাদে ডিস ব্যবসার বিরোধকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অনুসারীরা তিন নারীকে পিটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত তিন নারী হালিশহর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করে ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
তবে পাশ্ববর্তী ওয়ার্ড দক্ষিণ আগ্রাবাদের কাউন্সিলর এম এইচ সোহেল তিন নারীকে মামলা না করে নিজে সমঝোতার চেষ্টা চালান বলে জানা যায়।
মারধরের শিকার নারীরা হলেন উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের রঙ্গিপাড়ার পদ্মা আবাসিক এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে জেসমিন আক্তার টিনা (১৮) ও জান্নাতুল ফেরদৌস (২৫) এবং একই এলাকার আবুল খায়েরের মেয়ে চম্পা আক্তার (২৪)। তিনজনই বেসরকারি ক্যাবল অপারেটর চিটাগং কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের (সিসিএল) কর্মী হিসেবে উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডে কাজ করেন।
মারধরের শিকার জেসমিন বলেন, ‘আমাদের তিনজনকে মারধর করে নগদ টাকা কেড়ে নিয়েছে। তাছাড়া এসিড মেরে ঝলসে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছে। মারধরের কারণে আমাদের দুই বোনের রক্তবমি হয়েছে।’
হালিশহর থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আগ্রাবাদে কাউন্সিলর এবং তার অনুসারীরা ডিসের ব্যবসা করেন। সিসিএল এর কর্মীদের সঙ্গে আধিপত্য নিয়ে কাউন্সিলরের বিরোধ আছে। গত বৃহস্পতিবার তিন নারীকে রাস্তায় একা পেয়ে মারধর করেন কাউন্সিলরের অনুসারীরা। কাউন্সিলরের অনুসারী কয়েকজন আগেও ডিস ব্যবসা নিয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল। আমরা তখন মীমাংসা করে দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন প্রকাশ্যে তিনটি মেয়েকে মারবে, এটা মীমাংসার বিষয় নয়। আহতরা মামলা করেছেন। ফলে আইন অনুযায়ী যা হওয়ার হবে।’
কাউন্সিলর এম এইচ সোহেল বলেন, ‘মারধরের শিকার তিন নারী নিজ থেকে আমার কাছে বিচার চাইতে এসেছিলেন। তখন আমি সমঝোতার কথা বলেছি। কিন্তু তারা যখন মামলা করেছেন, তখন আমি আর কিছু বলিনি।’
বিডি প্রতিদিন/৪ আগস্ট ২০১৭/হিমেল