চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ এলাকায় ছেলের অসাবধানতার কারণে অনাকাংখিতভাবে বাবা মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ন কবির মজুমদার (৬৫) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তার জীবনের অবসানটি পরিবারের স্ত্রী-সন্তানদের সামনেই ঘটে গেলো। একটি ভুলের কারণে এমন ঘটনায় পরিবারের লোকজনই রীতিমতো ভাষাহীন হয়ে পড়েছে। স্বামী ও পিতা বিহীন পরিবারে দেখা গেছে শোকের ছায়াও।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার শেরশাহ কলোনীতে গত শুক্রবার রাতে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে বলে আজ জানান- ওসি মোহাম্মদ মহসিন। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বড় ছেলের কবর জেয়ারত শেষে স্ত্রী-সন্তান ও নাতনি এক সঙ্গে বাসায় আসেন জনতার ব্যংকের সাবেক কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ন কবির মজুমদার (৬৫)। নিজস্ব প্রাইভেট কার চালাচ্ছিলেন ছেলে ফাহাদ কবির তপু। বাড়ির ভিতরে নিজেদের র্পাকিং এ গাড়ি রাখার সময় পিছনেই দাড়াঁনো ছিল বাবা (হুমায়ন কবির)। না দেখেই হঠ্যাৎ গাড়ি পিছনের দিকে গেলে গাড়ি এবং দেয়াল চাপায় গুরুত্বর আহত হন বৃদ্ধা। পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথেই তিনি মারা যান।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি। নিহতের স্ত্রী পারভিন আরা কবির থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এতে এটা একটা দুর্ঘটনা। ছেলের কোন দোষ নেই।
বায়েজিদ বোস্তামী থানা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. খোরশেদ আলম বলেন, হুমায়ন কবিরের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। দুই বছর আগে ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বড় ছেলে মারা যান। মেয়ে ফারহানা কবির নেওয়াজ স্বামী-সন্তান নিয়ে লন্ডনে থাকেন। গত বুধবার ফারহানা মেয়েকে নিয়ে দেশে আসেন। তবে একেবারে অনাকাঙ্খিত ঘটনা।
ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার মহুয়া গ্রামের বাড়ি হলেও শেরশাহ কলোনির এস এম সড়কে ১২ নম্বর বাড়িটি হুমায়ন কবিরের। সেখানে সবাইকে নিয়ে তিনি বসবাস করতেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার