বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্জারী বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. সাইফুল আজমকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত এবং পাল্টা হিসেবে এক রোগীর দুই স্বজনকে মারধরের ঘটনায় পাল্টা-পাল্টি মামলা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার হামলাকারী অভিযোগে রোগীর স্বজন তৌহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে ডা. সাইফুল আজম এবং বুধবার রোগীর স্বজন মারধরের অভিযোগে তৌহিদের স্ত্রী জান্নাত আরা বেগম সহকারী রেজিস্ট্রার সাইফুল সহ ৫০/৬০জন ইন্টার্ন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় পৃথক মামলা দায়ের করেন।
চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে আকস্মিক হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সহ সকল গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের গেট আটকে দেয়ায় বিপাকে পড়েন অসুস্থ্য রোগী ও তাদের স্বজনরা। পরে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম সিরাজুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিয়ে সন্তোষজনক সমাধানের আশ্বাস দিলে প্রায় ১ ঘন্টা পর বিকেল ৫টার দিকে জরুরী বিভাগ সহ সকল গেটের তালা খুলে দেয় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
সন্ধ্যায় সার্কিট হাউজে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমীনের উপস্থিতিতে পুলিশ ও হাসপাতাল প্রশাসনের সাথে ইন্টার্ন শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দলের রূদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম সিরাজুল ইসলাম জানান, আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। এরপর কাজে ফিরে যাওয়ার কথা বলেন ইন্টার্ন চিকিৎসক এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. রাজু। অপরদিকে পুলিশ কমিশনার এমএস রুহুল আমীন জানান, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
উল্লেখ্য গত সোমবার গভীর রাতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত সদর উপজেলার জাগুয়া ইউনিয়নের জাহিদ সরদারকে হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) অস্ত্রোপাচার করছিলেন চিকিৎসকরা। এ সময় রোগীর স্বজনরা ওটির সামনে ভীড় করেন। তখন তাদের দূরে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন চিকিৎসকরা। এ সময় মুঠোফোন চুরি হওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে স্বজনরা এক চিকিৎসককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। পরে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জোটবদ্ধভাবে রোগীর দুই স্বজনকে বেদম মারধরের পর তৌহিদকে পুলিশে সোপর্দ করে।
বিডি প্রতিদিন/ ১০ আগস্ট, ২০১৭/ তাফসীর