টঙ্গীতে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা একটি বাড়ি ও দোকান দখলের চেষ্টাকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন দোকান ও বাড়ির মালিক আলমাছের ছেলে ইমন, আলমগীর, স্ত্রী জাহেদা বেগম ও প্রতিপক্ষের মোতালেব।
ঘটনাটি ঘটে আজ বিকালে। এসময় স্থানীয় সাংবাদিকেরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের ওপরও চড়াও হয় এবং মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ইসমাইলকে আটক করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টঙ্গীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী জসিমের নেতৃত্বে একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসী ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে হোসেন মার্কেট বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন জনৈক আলমাছের বাড়ি ও দোকান দখল করতে যায়। এসময় আলমাছ পরিবারের সদস্যরা বাধা দিলে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে আলমাছের ছেলে আলমগীর ও স্ত্রী জাহেদা এবং প্রতিপক্ষের মোতালেব আহত হয়। পরে মোতালেবের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা আলমাছের ছেলে ইমনকে ধরে নিয়ে বেদম মারধর করে। পরে গুরুতর আহত ইমনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে টঙ্গী মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার জমির বিরোধ নিয়ে উভয় পক্ষের বসার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার ফয়সালার আগ পর্যন্ত দোকান না খুলার জন্য আলমাছকে বলেছিলাম। সে কথা রাখলে (দোকান না খুললে) এই ঘটনা ঘটতো না। ‘এটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে থানার হস্তক্ষেপ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, তারা থানায় আসে কেন, থানায় না আসলে তো বসার প্রসঙ্গ আসতো না।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন