রাজশাহীতে মাদ্রাসাছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে আবদুল জাব্বার ওরফে জিহাদী (৬০) নামে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জিহাদী রাজশাহী মহানগরীর ছোটবনগ্রাম এলাকার জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। ছোটবনগ্রাম ক্লাবের মোড়ে তার বাড়ি। বাবার নাম মৃত ফকির মাহমুদ।
অধ্যক্ষ জিহাদীর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের শিকার ওই ছাত্রের (১৪) বাবা নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন। বুধবার সকালে মামলাটি দায়েরের পরই ওই মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ অধ্যক্ষ জিহাদীকে গ্রেফতার করে। অধ্যক্ষ জিহাদী এর আগেও এমন অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা জানান, নির্যাতনের শিকার ওই কিশোর মাদ্রাসাটির হেফজ বিভাগের আবাসিক ছাত্র। অনেকদিন ধরেই অধ্যক্ষ তার ওপর যৌন নিপীড়ন চালাতেন। সর্বশেষ গত ১৩ অক্টোবর রাতে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ছাত্র। এরপর সে বাড়ি চলে যায়। তবে লজ্জায় সে কাউকে এ ঘটনা জানায়নি।
কয়েকদিন পর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে ওই ছাত্রের বাবা তাকে মাদ্রাসায় রেখে আসতে চান। কিন্তু ওই ছাত্র কোনোভাবেই মাদ্রাসায় যেতে চাইছিল না। এতে তার বাবা জোর করলে একপর্যায়ে সে তার অধ্যক্ষর যৌন নিপীড়নের ব্যাপারে মুখ খোলে। এরপরই ওই ছাত্রকে সঙ্গে এনে থানায় মামলা করেন তার বাবা। পরে অভিযান চালিয়ে অধ্যক্ষ জিহাদীকে গ্রেফতার করা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা জানান, বুধবার দুপুরে ওই মাদ্রাসা ছাত্রকে রাজশাহীর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় সে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে জবানবন্দি দেয়। সে বলেছে, মারধরের ভয় দেখিয়ে অধ্যক্ষ তার ওপর যৌন নিপীড়ন চালাতেন। দুপুরে অধ্যক্ষ জিহাদীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এর আগে থানায় ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে অধ্যক্ষ জিহাদী তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে এর আগের ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কোনো জবাব দেননি।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন