চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে টানা তিন বছর এমআরআই (ম্যাগনেটিং রিজোনেন্স ইমেজিং) মেশিনের মত গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা উপকরণ ছিল না। অবশেষে আজ দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন আনুষ্ঠাকিভাবে মেশিনটি উদ্বোধন করেন। হাসাপাতালের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের নিয়ন্ত্রণে নতুন মেশিনটি স্থাপিত হয় নতুন কার্ডিওলজি ভবনের নিচতলায়।
চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ২৯ এপ্রিল হাসপাতালে সিটি স্ক্যান, এমআরআই মেশিন বসানো হয়। ২০১৪ সালের শেষের দিকে দুটি মেশিনই অচল হয়ে পড়ে। এরপর থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বারবার তাগাদা দেওয়ার প্রেক্ষিতে মেশিনটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে জাপানি হিটাচি ১.৫ টেসলা মেশিনটি বসানো হয়।
অভিযোগ আছে, সরকারি হাসপাতালে এমআরআই মেশিন বিকল থাকার সুযোগে হাসপাতাল সংলগ্ন কিছু বেসরকারি রোগ নির্ণয়কেন্দ্র দামি দামি মেশিন বসিয়ে রোগীদের কাছ থেকে ইচ্ছা মত টাকা আদায় করে আসছে। অনেক গরীব-অসহায় রোগী উচ্চমূল্যে এ পরীক্ষা করাতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগও আছে।
আজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন, চমেক অধ্যক্ষ ডা. সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, জেলা সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, বিএমএ সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের প্রধান ডা. সুভাষ মজুমদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বৃহত্তর চট্টগ্রামের একমাত্র রেফার হাসপাতাল এটি। মহানগরীর জনসংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ১৩১৩ শয্যার এ হাসপাতালে গড়ে আড়াই হাজার রোগী সেবা পাচ্ছে। নতুন এমআরআই মেশিন হাসপাতালের গরীব রোগীরা প্রয়োজনীয় সেবা পাবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার