রাজধানীবাসীর বহুল আকাঙ্ক্ষিত মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগ সমন্বিত ফ্লাইওভার উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ফ্লাইওভারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ফলে দীর্ঘ ৬ বছরের অপেক্ষা ও দুর্ভোগের অবসান ঘটিয়ে পুরোপুরি খুলে যাচ্ছে তিনভাগে নির্মিত ৮ দশমিক ২৫ কিলোমিটারের এ ফ্লাইওভারটি।
প্রকল্পের পরিচালক সুশান্ত পাল বলেন, ‘ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ ইতোপূর্বে সম্পন্ন হয়েছে। দুপুর ১২টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর নগরবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত এই ফ্লাইওভারটি জনসাধারণে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এতে যানজটের তীব্র যন্ত্রণা থেকে নগরবাসী যেমন রেহাই পাবেন তেমনি যাতায়াত সময়ও কমবে অনেক।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ২১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করেছে ৪৪২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি) দিয়েছে ৭৭৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
চার লেনের এ ফ্লাইওভারে ওঠানামার জন্য ১৫টি র্যাম্প রয়েছে। তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা, এফডিসি, মগবাজার, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, বাংলামটর, মালিবাগ, রাজারবাগ পুলিশ লাইন এবং শান্তিনগর মোড়ে ওঠানামা করার ব্যবস্থা রয়েছে। এটি রিখটার স্কেলে ১০ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় বলে প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে। প্রতিটি পিলার পাইলের গভীরতা প্রায় ৪০ মিটার গভীর।
২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ৯ কিলোমিটার লম্বা ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। ফ্লাইওভারটির কাজ তিন ভাগে করা হয়েছে। গত বছরের ৩০ মার্চ সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল অংশে যান চলাচল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ফ্লাইওভারের ইস্কাটন-মৌচাক অংশের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তৃতীয় ধাপে এফডিসি মোড় থেকে সোনারগাঁও হোটেলের দিকের অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় এ বছর ১৭ মে। এখন খুলে দেয়ার অপেক্ষায় রয়েছে ফ্লাইওভারের মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর-রাজারবাগ অংশ।
বিডি প্রতিদিন/২৬ অক্টোবর ২০১৭/এনায়েত করিম