বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মোক্তার হোসেন বেপারী নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এই হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে নিহতের স্ত্রী এবং ২ ছেলে-মেয়েকে আটক করেছে পুলিশ।
পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে বলে ধারনা স্থানীয়দের। অপরদিকে এ ঘটনায় মামলা দায়ের সহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছে পুলিশ। নিহত মোক্তার পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী ছিলেন।
আটককৃতরা হলো নিহতের স্ত্রী মনিরা বেগম (৩৫), তার মেয়ে বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী তানজিলা আক্তার (১৮) এবং ছেলে স্থানীয় বোর্ড স্কুলের ৮ম শ্রেনীর ছাত্র আফিজুল ইসলাম (১৪)।
পাশের ঘরের মাকসুদা বেগম জানান, ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর পাশে মোক্তারের ঘরের মধ্যে হট্টগোলের শব্দ শুনতে পান। এরপর ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোন প্রতি উত্তর না পেয়ে তিনি দৌড়ে পাশের বাড়ি খবর দিতে যাচ্ছিলেন। এ সময় মোক্তারের স্ত্রী মনিরা বেগম ঘর থেকে বের হয়ে তাকে ধরে এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন।
প্রতিবেশী মো. বুলেট বলেন, মোক্তার এলাকায় শান্তশিস্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি দিন মজুরীর কাজ করতেন। মোক্তার তার স্ত্রী ও মেয়ের চাহিদা মেটাতে না পাড়ায় তাদের মধ্যে অসন্তোষ ছিলো। মোক্তারের স্ত্রী মিনারা ও তার মেয়ে তানজিলা সম্পর্কে বিরূপ ধারনার কথা বলেন প্রতিবেশীরা। মোক্তার খুন হয়েছে শুনে সকালে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখেন তার রক্তাত্ব নিথর দেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরের যে কোন সময় মোক্তার হোসেনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে আহত করা হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে শেরে-ই বাংলা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহত মোক্তার বদ মেজাজী ছিলেন এবং প্রায়ই তিনি স্ত্রী সন্তানদের নির্যাতন করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নগরীর কাউনিয়া থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম জানান, আটক মিনারা বেগম তার স্বামীকে হত্যার কথা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় তার বোন মুকুল বেগম বাদী হয়ে আটক ৩জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আটক ৩জনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মর্গে ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে ওসি নুরুল ইসলাম।
বিডি প্রতিদিন/ ২৬ অক্টোবর, ২০১৭/ ই জাহান