শিক্ষা জাতীয়করণ, বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের বার্ষিক ৫ ভাগ প্রবৃদ্ধি, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বৈশাখী ভাতা, বাড়ি ভাড়া এবং চিকিৎসা ভাতাসহ ১১দফা দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবিরাম ধর্মঘটের ৭ম দিনে পুরোপুরি নিষ্প্রাণ হয়ে পড়েছে বরিশাল বিভাগের ২ সহস্রাধিক বেসরকারি স্কুল, কলেজ এবং কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
গত ৬ দিনের মতো রবিবার সপ্তম দিনেও ক্লাশের আশায় হাজার হাজার শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজে গিয়ে অসল সময় কাটিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষা বছরের শুরুতেই টানা ক্লাশ না হওয়ায় বছরের শেষভাগে গিয়ে অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে। ক্লাশ না হওয়ায় বাড়িতেও পড়াশোনায় তেমন মনযোগী হতে পারছেন না তারা। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অচলাবস্থা নিরসন করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
দীর্ঘ ক্লাশ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের সমস্যা হচ্ছে স্বীকার করে নগরীর জগ্বদিশ সারস্বত মাধ্যমিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম বলেন, সরকার তাদের দাবি মেনে নিলেই ক্লাশে ফিরবেন তারা।
শিক্ষক নেতারা জানান, দাবি আদায়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা পর্যায়ক্রমে মানববন্ধন, মিছিল, সমাবেশ এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। কিন্তু সরকার তাদের দাবি অগ্রাহ্য করায় বাধ্য হয়ে গত ২২ জানুয়ারি থেকে অবিরাম ধর্মঘট শুরু করেন তারা।
এদিকে শিক্ষক কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী অধ্যাপক মহসিন-উল ইসলাম হাবুল বলেন, আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে ২৮ জানুয়ারির পর থেকে অবিরাম ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষার পর আগামী ১১ মার্চ থেকে একই দাবিতে ফের অবিরাম ধর্মঘট শুরু হবে। ধর্মঘট চলাবস্থায় ১৪ মার্চ ঢাকায় মহাসমাবেশ এবং মহাঅবস্থান কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছে। প্রয়োজনে মহাবস্থানে আমরন অনশন করে শিক্ষা জাতীয়করণের ঘোষণা নিয়েই বাড়ি ফিরবেন তারা।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন