বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্বাচন। এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এককভাবে সরকার গঠন করবে। দেশের মানুষ এখন জাতীয় পার্টির অপেক্ষায় রয়েছেন।
শুক্রবার বিকেলে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউটে জাতীয় পার্টির বিভাগীয় যৌথ কর্মী সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কর্মী সমাবেশে স্লোগান পাল্টা স্লোগান নিয়ে সমাবেশস্থলে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠে। এসময় পিছন থেকে চেয়ার ছুড়াছুড়ির ঘটনাও ঘটে বলে জানান নেতা-কর্মীরা।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মী সভায় মন্ত্রী আরো বলেন, দেশে যত উন্নয়ন হয়েছে সব এরশাদের আমলে। প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসকদের কার্যালয়, আদালত ভবন সবই এরশাদের আমলে করা হয়েছে। এরশাদের আমল ছিল এদেশের স্বর্ণযুগ। প্রতিটি উপজেলা পরিষদ গঠন করা হয়েছিল হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের আমলে। গার্মেন্টস শিল্পের নীতিমালা তৈরি করে ছিলেন তিনিই (এরশাদ)। দেশের বৃহত্তম যমুনা সেতু করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এসময় আমাদের দলাদলি করা যাবে না। কেননা সারাদেশের মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে।
আগামী ২৪ মার্চ ঢাকায় জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ সফল করার জন্য নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা দেখিয়ে দিতে চায় আগামী ২৪ মার্চ ঢাকায় লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি। এখন দেশের মানুষের অন্তরে জাতীয় পার্টির স্থান। মহাসমাবেশে সফল করার জন্য সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘দেশ জাতীয় এখন কঠিন সময় পার করছে। দেশের মানুষ এ ধরণের শাসন চায়না। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে এখন কারাগারে রয়েছেন। তার স্থায়ী কমিটি সদস্যরা কারাগারে গিয়ে কিভাবে রাজনীতিক মিটিং করে আমি জানি না। জাতীয় পার্টি এখন আগের যেকোন সময়ের চেয়ে শক্তিশালী।’
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহামদ বাবলু এমপি বলেন, আগামী নির্বাচন জাতীয় পার্টির জন্য অগ্নি পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় আমাদের ভালভাবে উত্তীর্ণ হতে হবে। জাতীয় পার্টিকে পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় সংগঠিত করতে হবে। সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দেশে আওয়ামী লীগ বিএনপি দুই দলই সন্ত্রাস করেছে। জাতীয় পার্টি সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না।
সংসদ সদস্য রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘রাষ্ট্রপরিচালনা ক্ষেত্রে আমরা (জাতীয় পার্টি) আর কারো পেছনে থাকতে চাই না। জাতীয় পার্টি এককভাবে রাষ্ট্রপরিচালনা করতে সক্ষম। দেশে দিন দিন বাড়ছে খুন গুমসহ নানা অপরাধমূলক কার্যক্রম। আমরা এসব চাই না। জাতীয় পার্টি চায় একটি আধুনিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জাতীয় পার্টিকে এগিয়ে নিতে হবে। তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।’
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মী সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সংসদ সদস্য রুহুল আমিন হাওলাদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সংসদ সদস্য ও সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহামদ বাবলু এমপি, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সোলায়মান আলম শেঠ, সংসদ সদস্য মাহজাবীন মোরশেদ, সাবেক চসিক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নেতা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, জাতীয় পার্টির দক্ষিণ জেলা নেতা মাস্টার সামশুল আলম।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন