সাভারের বক্তারপুর এলাকায় আলোচিত শরীফ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ৬ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকরক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। এছাড়া বাকি দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিন করে রিমান্ডও মঞ্জুর করেছে আদালত।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো. গোলাম রাব্বি, ইয়াসিন ভুইয়া, সাজ্জাদুল আলম শ্রাবন, আফতাব হাবিবুর , ছোট রাসেল আহমেদ ও মুসা মিয়া।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোফাজ্জল হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জুতার কারখানার শ্রমিক শরিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে বুধবার সকালে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। এঘটনায় চার জন তাদের দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে এবং বাকি দুইজনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাসিল কাদির বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিদেশী কুকুরকে আটকে রাখাকে কেন্দ্র করে শরিফ ও তার বন্ধুদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে শরিফকে কুপিয়ে হত্যা করে তার বন্ধুরা। পরে নিহতের বাবা মোসলেম মিয়া বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত শুরু করি এবং আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠাই। তবে ঘটনার মূল হোতাসহ অনেকেই এখনও ধরা না পড়ায় তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সাভারের বক্তারপুর এলাকায় একটি বিদেশী কুকুরকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এঘটনায় আধিপত্ত্য বিস্তারের জন্য হত্যাকারীরা অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রতিপক্ষকে ধাওয়া করে। একই সময় শরিফ কারখানায় কাজ করে বাসায় ফেরার পথে হামলাকারীরা শরীফকে ধরে ফেলে। পরে তাকে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে ছুড়িকাঘাত করে হত্যা করে। এঘটনায় এক সহকর্মী আলামিন শরিফকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাকেও কুপিয়ে আহত করে। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
নিহত শরিফ ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর থানার রামপুর গ্রামের মোসলেম মিয়ার ছেলে। সে বক্তারপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি জুতা তৈরির কারখানায় কাজ করতো।
বিডি প্রতিদিন/৬ জুন ২০১৮/হিমেল