ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা-গোমতী সেতুর দুই পাশের ৩২ কিলোমিটার সড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে আটকা পড়ে যাত্রী ও পশু বিক্রেতারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। মঙ্গলবার বিকেল থেকে এই যানজটের সৃষ্টি হয়। ওইদিন যানজটের পরিমাণ কম থাকলেও পরবর্তীতে তার আকার দীর্ঘ হতে থাকে। যানজটের পরিমাণ উঠা-নামার মধ্যেই বৃহস্পতিবার দুপুরে মেঘনা-গোমতী সেতুর দুইপাশে ৩২ কিলোমিটার যানজট অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র জানায়, ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের মধ্যে মহাসড়কের কুমিল্লা দাউদকান্দি মেঘনা-গোমতী সেতুর টোলপ্লাজা থেকে চান্দিনার মাধাইয়া পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার এবং মুন্সিগঞ্জ জেলার অংশে ১০ কিলোমিটার।
যাত্রীরা জানান, কুমিল্লা অংশে দীর্ঘ যানজটে আটকে আছে শত শত যানবাহন। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। তবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন ঈদের বাজারে আনা-নেওয়া পশুর যানবাহনগুলো। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার ফলে পশুর খাদ্য নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ঢাকাগামী বাসযাত্রী কামাল হোসেন জানান, কুমিল্লা থেকে ঢাকা উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন ভোরে। চান্দিনায় গাড়িতে সাড়ে চার ঘণ্টা বসে আছেন।
হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিওনের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া যানজট দীর্ঘ আকার ধারণ করেছে। মহাসড়কের মেঘনা-গোমতী ও মেঘনা সেতুর উভয় দিকে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও ঈদকে সামনে রেখে পণ্যবাহী যানবাহনও বেড়ে গেছে, যার প্রভাবে পড়ছে সড়কে। তবে হাইওয়ে পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করছে বলেও তিনি জানান।
বিডি-প্রতিদিন/১৬ আগস্ট, ২০১৮/মাহবুব