প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে পাঁচ শতাংশ আদিবাসী কোটা পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগছাস)। একইসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের উদ্ধৃতি দিয়ে তারা বলেছেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, দেশে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী আর নেই। আমরা অনুরোধ করবো কীভাবে পাহাড়িরা জীবনযাপন করে একটু দেখে যান। পাঁচ শতাংশ কোটা বাতিল করে আমাদের অগ্রসর জাতি হিসেবে পরিচিতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র একদম ভিন্ন। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে আমাদের প্রশ্ন, আমরা কীভাবে অগ্রসর হলাম?
রবিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল থেকে এ দাবি জানানো হয়েছে।
বাগছাস সভাপতি প্যাট্রিক চিসিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, বাগছাসের সাধারণ সম্পাদক অনুপ হাদিমা, দপ্তর সম্পাদক চপল বাজি, প্রচার সম্পাদক তুষার হাজং, আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ পরিষদের সমন্বয়ক উন্নয়ন সাংমা, সাঁওতাল স্টুডেন্টস ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুমন মুরমু প্রমুখ।
ফিরোজ আহমেদ বলেন, আদিবাসীদের এই যৌক্তিক দাবির সঙ্গে আমরা একমত। পাহাড়ি দুর্গম জনপদের একজন স্টুডেন্টের সুযোগ সুবিধা আর রাজধানীর একজন স্টুডেন্টের সুযোগ সুবিধা এক নয়। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে অবশ্যই তাদের ৫ শতাংশ কোটা পুনর্বহাল রাখতে হবে।
প্যাট্রিক চিসিম বলেন, আদিবাসীরাও এদেশেরই নাগরিক। স্বাধীন রাষ্ট্রের পেছনেও আদিবাসীদের অবদান রয়েছে। আমাদের পাঁচ শতাংশ কোটা দিতেই হবে। কোটা বহাল না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ অক্টোবর, ২০১৮/মাহবুব