যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়টি সময়ের ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি। তিনি মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের উদ্যোগে ‘ট্রাফিক সেবা সপ্তাহ’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে এমন মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, আপিল বিভাগের রায় আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। যদি না হয়, সেই আপিল বিভাগের রায়ের কারণেই আমরা এ আইনটা অতীতে করিনি কিন্তু আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত আগে থেকেই যে এটাকে নিষিদ্ধ করা। কারণ তারা যুদ্ধাপরাধী দল এবং তারা রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল। কাজেই সেটা হবে, এটা এখন সময়ের ব্যাপার। আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে আমরা আশা করতে পারি জামায়াতকে নিষিদ্ধকরণ ব্যাপারটা হয়তো আসবে।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আজাদ মিয়া, গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের ডিসি (ট্রাফিক) কে এম আরিফুল হক, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সঞ্জীব কুমার দেবনাথ, গাজীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. খায়রুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুলতান আহমাদ সরকার প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের সফল রাষ্ট্রনায়ক দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ বাহিনীকে জনগণের সেবক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। পুলিশের সেবার পরিধিকে বিস্তৃত করতে এবং জনগণের আরও কাছে সুনির্দিষ্টভাবে পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী ট্রাফিক পুলিশ, নৌ-পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশসহ বিভিন্ন ইউনিটে ভাগ করেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী তিনটি জিনিসের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স থাকবে, এগুলো হলো দুর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাস।
আ ক ম মোজাম্মেল হক দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কোন সৈনিকের কারণে এদেশের আইনশৃঙ্খলার যেন অবনতি না হয়, দুর্নীতির ব্যাপকতা যেন না বাড়ে, আর মাদক যেন প্রশ্রয় না পায়। আমরা যদি সত্যিকারভাবে প্রধানমন্ত্রীকে ভালোবাসি তাহলে মাদকের প্রতি জিরো টলারেন্স হতে হবে। এর কোন তদবিরও করা যাবে না।
মন্ত্রী বলেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠন হওয়ার পর এখন পর্যন্ত আমরা পর্যাপ্ত পুলিশ পাইনি। পুলিশ সদস্যদের থাকার জন্য কোন পুলিশ লাইন্স নেই। সে রকম অবকাঠামো এখনো গড়ে উঠেনি। অল্প সময়ের মধ্যে গাজীপুর মহানগরে আরো পুলিশ সংখ্যা বাড়ানো হবে। দেশের অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনের মতো জনসংখ্যা অনুপাতে প্রাপ্যতা অনুসারে গাজীপুর মেট্রোপলিটনে পুলিশ সদস্য পাবে। পরে মন্ত্রী বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে ট্রাফিক সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করেন এবং একটি বর্ণাঢ্য র্যালিতে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে কমিউনিটি পুলিশ, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা