সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৮৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত এক লাখ শিশুকে সরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে শিশুশ্রম নিরসনে গঠিত “জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদের ৭ম সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এ কথা জানান তিনি।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ আহম্মদ, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. সামছুজ্জামান ভূঁইয়া, শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক শিবনাথ রায়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, আইএলও প্রতিনিধিসহ এ কমিটির সাথে সংশ্লিষ্ট এনজিও প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
সভায় জানানো হয়, এ পর্যন্ত বিভিন্ন খাতের কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে ১৮৬টি মামলা করা হয়েছে, এর মধ্যে ৫১টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং ১৩৫টি মামলা চলমান রয়েছে। শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে কোন কোন খাতে কত শিশু শ্রমে নিয়োজিত রয়েছে তার সঠিক সংখ্যা নির্ণয়ে দেশব্যাপী জরিপের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর শিশুশ্রম সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিং করছে এবং কোন কারখানা মালিক শ্রমে শিশুদের নিয়োগ দিয়ে থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, প্রশিক্ষণ ও কর্মমূখি শিক্ষার মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুদের সরিয়ে আনতে হলে সকলকে আন্তরিক হয়ে কাজ করতে হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এবং ২০২৫ সালের মধ্যে সকল প্রকার শিশুশ্রম নিরসনে কাজ করছে সরকার।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম