গাজীপুরের টঙ্গী বাজার এলাকায় মাদবরবাড়ি রোডে দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রিন্স মাহমুদ নাহিদ (২৫) নামে ছাত্রলীগের কর্মী খুন হয়েছে। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহত নাহিদ টঙ্গীর বনমালা এলাকার জহিরের ছেলে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঘটনারদিন বিকালে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে রিফাত ও ইমনের সাথে বাকবিতন্ডা দেখা দেয় আকাশ নামে শিক্ষার্থীর। একপর্যায় তারা ক্ষিপ্ত শিক্ষার্থী আকাশকে মারধর করে। পরে আকাশ এঘটনায় থানায় একটি জিডি করেন। এতে রিফাত ও ইমন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে বিষয়টি নাহিদকে জানান। পরে প্রিন্স মাহমুদ নাহিদ একদল নিয়ে আকাশকে মারার জন্য রাত ৮টার সময় তারা বাড়ির সামনে গিয়ে অবস্থান নিয়ে গালমন্দ শুরু করে। এসময় শিক্ষার্থী আকাশ বেড়িয়ে আসলে নাহিদের লোকজনের সাথে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলাকালে আকাশের কয়েকজন বন্ধুও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে নাহিদ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে ছুরিকাঘাত অবস্থায় উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থার বেগতিক দেখে ঢামেক হাসপাতাল স্থানান্তর করেন। পরে ঢাকা কুর্মিটোলা হাসপাতাল নিয়ে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন প্রিন্স মাহমুদ নাহিদের বিরুদ্ধে নারী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় টঙ্গী থানায় একাধিক জিডি ও অভিযোগ রয়েছে। নাহিদ টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিলো কিন্তু ছাত্রলীগের কোন পদ-পদবি ছিল না। এব্যাপারে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি কামাল হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে এলাকাবাসীর তথ্যমতে নাহিদ উচ্ছৃঙ্খল টাইপের ছেলে ছিলো।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল