রাজশাহীতে শুরু হয়েছে সাতদিনব্যাপী অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় নাট্যোৎসব। শুক্রবার রাতে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন একুশে পদক পাওয়া সঙ্গীতাজ্ঞ পন্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, বর্ডার বা দাগ কেটে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ সীমানা রেখা দেওয়া যাবে। কিন্তু দুই বাংলার মানুষের মধ্যে যে ভালোবাসা ও আন্তরিকতা, সেটা দাগ কেটে আটকে রাখা যাবে না। দুই বাংলার ভ্রাতৃত্ব ছিল, আছে এবং আগামীতে আরও সুদৃঢ় হবে।
মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সাংস্কৃতিক ও নাট্যচর্চার গ্রুপের সদস্যরা নানা সীমাবন্ধতার মধ্য দিয়ে চর্চা অব্যহত রেখেছেন। তারা হয়তো তেমন সহযোগিতা পান না। আমি প্রথমবার মেয়র থাকার সময় বর্ণাঢ্য মেয়র নাট্যোৎসব করেছিলাম। এবার আগামী ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন করতে যাচ্ছি। এই ১০ দিন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মেতে থাকবে রাজশাহী। সাংস্কৃতিক চর্চায় আমার সহযোগিতা বিগত সময়েও ছিল। আগামীতেও সহযোগিতা অব্যহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডাশেনের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজিদ, ভারতের গোবরডাঙ্গা নক্সা এর নির্দেশক ও সভাপতি আশিস দাস, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ। স্বাগত বক্তব্য দেন রাজশাহী থিয়েটারের সভাপতি নিতাই কুমার সরকার। অনুষ্ঠানে গবেষক ও প্রাবন্ধিক অধ্যক্ষ ড. তসিকুল ইসলাম রাজাকে অক্ষয়কুমার মৈত্র সম্মাননা প্রদান করেন মেয়র ও অন্যান্য অতিথিরা। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন উদ্বোধক ও মেয়রসহ অন্যান্য অতিথিরা। এ সময় বর্ণাঢ্য নৃত্য পরিবেশিত হয়।
উল্লেখ্য, আগামী ৭ মার্চ এই উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। সাতদিনের এই উৎসবে বাংলাদেশ ও ভারতের বিখ্যাত সাতটি নাটক মঞ্চস্থ হবে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ