গাজীপুরের কাপাসিয়ার রায়েদ ইউপি উপনির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। কাপাসিয়া থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলা নম্বর ০১ (০৩) ২০১৯।
জানা গেছে, কাপাসিয়ার রায়েদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাইর মৃত্যুতে আসনটি শূণ্য ঘোষণা করে উপনির্বাচনের দিন তারিখ ঠিক করা হয়। সে অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোট গ্রহণ শেষে আওয়ামী লীগ মনোনীত শফিকুল হাকিম মোল্লা হিরন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। ফলাফল ঘোষণার কিছুক্ষণ পর হিরন মোল্লার সমর্থকরা রায়েদ মধ্যপাড়া কামারবাড়ি এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবির ছেলে সাখাওয়াত হোসেন ও নাহিদ রহমানের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় সাখাওয়াত ও নাহিদের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে এলোপাথারি পিটিয়ে জখম করে।
এ ঘটনায় সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় ১০ জনের নাম এবং ৫-৬ জন অজ্ঞাত উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করে। মামলার আসামীরা হলো, রায়েদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিরন মোল্লার ভাগিনা রাহাদ (২৬), শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল মোল্লা (২৩), ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজ (২২), মো. সৌরভ (২২), হাফিজুল (২২), বাপ্পি (১৯), দীপ্ত (২২), ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা শাকিল মোল্লা (২৪), রাব্বি (২৩), সুমন (২৪)।
অপরদিকে ওইদিনই প্রতিদদ্বন্দ্বী প্রার্থী হাবিবুর রহমান হবির সমর্থক গাজীপুর জেলা পরিষদের সদস্য ওয়াজ উদ্দিন মোল্লার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এ ঘটনা ওয়াজ উদ্দিন মোল্লা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
রায়েদ ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবি বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী হিরন মোল্লার লোকজন প্রথমে আমাকে মারধর করতে চেষ্টা করে। আমাকে না পেয়ে আমার দুই ছেলে সাখাওয়াত ও নাহিদকে মারধর করে এবং তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল ভেঙ্গে ফেলে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
গাজীপুর জেলা পরিষদের সদস্য ওয়াজ উদ্দিন মোল্লা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ছাত্রলীগ নেতা রাহাদ ও শাকিল মোল্লার নেতৃত্বে আমার উপর ও আমার বাড়ি-ঘরে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল