নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জের এনায়েত নগর এলাকার আমিনুল ইসলাম কালু হত্যার দায় স্বীকার করে নারায়ণগঞ্জের পৃথক ৪টি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন নিহতের স্ত্রী মোসাম্মৎ রিক্তা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিকসহ কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া ৪ জন।
সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ হুমায়ন কবীর, ফাহমিদা খাতু, মাহমুদুল মহসীন, আফতাবুজ্জামানের আদালতে গ্রেফতারদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
আমিনুল ইসলাম কালুর হত্যাকারীরা নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান।
তিনি আরও জানান, জবানবন্দিতে জানা যায়- পরকীয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় স্ত্রী রিক্তা বেগম ও তার প্রেমিক রেজাউল পলাশ তাদের বন্ধু মাসুম ও ইমরানকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে কালুকে গলা কেটে হত্যা করে।
এর আগে, পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এনায়েত নগর এলাকার আমিনুল ইসলাম কালুর স্ত্রী রিক্তা বেগম এক ব্যাচেলর ম্যাচে রান্না করতেন। সেই সুবাদে রেজাউল করিম পলাশ নামে এক ছেলের সঙ্গে রিক্তার পরকীয়া ও দৈহিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। যা রিক্তার স্বামী আমিনুল ইসলাম কালু টের পেয়ে যায়। এ নিয়ে রিক্তার সঙ্গে কালুর দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই জের ধরে গত ১ মার্চ শুক্রবার রাতে রেজাউল করিম পলাশ ও তার সহযোগীরা কালুকে অপহরণ করে সোনারগাঁয়ের কাইকারটেক কাফুরদী এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে নিয়ে গলাকেটে হত্যা করে লাশ ফেলে যায়। পরে ২ মার্চ শনিবার সকালে এলাকাবাসী লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। অজ্ঞাত লাশের খবর শুনে নিহত কালুর ভাই সামছুল হক নারায়ণগঞ্জ জেলা হাসপাতালে গিয়ে ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করেন এবং সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিহত কালুর স্ত্রী রিক্তা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক রেজাউল করিম পলাশসহ ৪ জনকে আটক করে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম