'উন্নয়ন আর আইনের শাসনে এগিয়ে চলছে দেশ, লিগ্যাল এইডের সুফল পাচ্ছে সারা বাংলাদেশ’, এই প্রতিপাদ্য নিয়ে পালিত হলো লিগ্যাল এইড দিবস। সকালে ঢাকার জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে এ দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আয়োজিত কর্মসূচীর মধ্যে ছিল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, লিগ্যাল এইড মেলা, আলোচনা সভা ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকার জেলা জজ মো. হেলাল চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অর্থের অভাবে যেন কোন মানুষ ন্যায়বিচারের আশ্রয় নিতে বাধাগ্রস্থ না হয়। সে জন্যই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার সরকারিভাবে বিনা মূল্যে লিগ্যাল এইডের মত পরিসেবা চালু করেছেন। যা আজ সফলতার চূড়ান্ত পর্যায়ের আস্তে আস্তে ধাবিত হচ্ছে। এরআগে সকালে বর্নাঢ্য র্যালীর মাধ্যমে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। পরে লিগ্যাল এইড দিবস উপলক্ষে র্যালীতে বিচারকবৃন্দ, আইনজীবী, জেলা প্রসাশক, পুলিশ সুপার, বিচারপ্রার্থীসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ অংশ নেন। পরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মো. জাহিদুল কবিরের রক্তদানের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী উদ্বোধন করা হয়।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ মো. আলমগীর হোসাইন সাংবাদিকদের জানান, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত ঢাকা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের সহায়তায় ১৮৮০ জন কারাবন্দী জামিন পান, বিনামূল্যে আইনি সেবা পান মোট ৫৭৫৬ জন।
লিগ্যাল এইড দিবস উপলক্ষে বিকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের জগন্নাথ সোহেল স্মৃতি মিলনায়তনে লিগ্যাল এইড দিবসের আলোচনা সভা করা হয়। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাত শুকরানার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান, নারী-শিশু জজ আবু নাসের মো. জাহাঙ্গীর আলম, বিভাগীয় স্পেশাল জজ সৈয়দ দিলজার হোসেন, সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান, মোখলেছুর রহমান বাদল, ঢাকার সিএমএম জাহিদুল কবির, ঢাকা বারের সভাপতি গাজী শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান রচি প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
