চলতি মৌসুমে ধান কাটা শ্রমিকের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। চড়া দামেও মিলছে না শ্রমিক। এদিকে ধানের দাম কম হওয়ায় খরচের টাকা ওঠা নিয়ে হতাশায় ভুগছেন কৃষকরা। সব মিলিয়ে ক্ষেতের পাকা ধানই এখন কৃষকের বোঝা হয়ে উঠেছে।
ধান কাটা শ্রমিকের সঙ্কট ও শ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন রাজশাহীর চাষিরা। ফলে সঠিক সময়ে ধান গোলায় তুলতে পারছে না তারা। ধান কাটা শ্রমিকদের প্রতিদিন সাড়ে ৪০০ টাকা পারিশ্রমিক দিতে হচ্ছে। এক বিঘা জমির ধান কাটতে অন্তত চারজন শ্রমিক লাগে। আর টাকা দিতে না ছাইলে এক মণে ৬ কেজি ধান দিতে হচ্ছে রাজশাহীর তানোরের চাষিদের।
চাষি মোহাম্মদ মোকলেসুর রহমান জানান, প্রাপ্য মজুরির চেয়ে বেশি দামেও মিলছে না শ্রমিক। স্থানীয়দের পাশাপাশি বাইরের এলাকা থেকে ধান কাটার জন্য লোক আসত। ফলে শ্রমিক সঙ্কট হতো না। কিন্তু এবার এ চিত্র একেবারে পাল্টে গেছে।
তিনি জানান, চাষাবাদে প্রতি বিঘায় খরচ পড়েছে সাত-আট হাজার টাকা। বর্তমানে বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। এতে উৎপাদনের চেয়ে খরচ বেশি হওয়ায় লোকসান গুণতে হচ্ছে কৃষকদের।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. শামসুল হক জানায়, এবছর ধানের ফল ভল হয়েছে। প্রতি হেক্টরে সোয়া চার টন ধান হচ্ছে। এটা গত বছরের প্রায় সময়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন