রাজশাহী মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে...রাজেউন)। শনিবার সকাল পৌনে আটটার দিকে ঢাকার ধানমন্ডিতে ছেলের বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি দুই ছেলে ও চার মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মাহতাব উদ্দিনের ছেলে দিপ্ত ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন থেকে মাহতাব উদ্দিন হৃদরোগে ভুগছিলেন। এক মাস আগে তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী থেকে ঢাকায় ছেলের বাড়িতে যান। শনিবার সকালে বুকে ব্যথা অনুভব করেন এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। আমরা হাসপাতালে নেওয়ার সুযোগও পাননি।
প্রবীণ সাংবাদিক মাহতাব উদ্দিন ছিলেন রাজশাহী অঞ্চলে সাংবাদিকতার পথিকৃত। তিনি অধুনা বিলুপ্ত সাপ্তাহিক গণখবর ও দৈনিক লাল গোলাপের সম্পাদক ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে একাধিক গেরিলা বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নিজের সম্পদ বিলি করেছেন। তিনি সরকার ঘোষিত মুক্তিযোদ্ধা ভাতাও প্রত্যাখ্যান করেন।
বীর এই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দিপ্ত ইসলাম জানান, তার বাবা বলতেন; তিনি দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। ভাতার জন্য নয়। এ কারণে তিনি সেই ভাতা বা সুযোগ-সুবিধা নেননি।
বীর এই মুক্তিযোদ্ধার হাত ধরে টিভি সম্প্রচার কেন্দ্র আন্দোলন ও পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। মাহতাব উদ্দিনের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী শাহেদ, সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক