ঘুষ না দেওয়ায় এক দিনমজুরের পা ভেঙে দেওয়া সেই সহকারী উপ-পরিদর্শককে (এএসআই) পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ এই আদেশ দেন।
পরে দুপুরেই তাকে রাজশাহী পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়। রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতে খায়ের আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ঘটনা তদন্তের জন্য তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে ঘুষ না পেয়ে রাজশাহীর দুর্গাপুরে সাইদুল ইসলাম (৫৫) নামের এক দিনমজুরের পা ভেঙে দেন ওই থানার এএসআই হাফিজুর রহমান হাফিজ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হোজা অনন্তকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। আহত সাইদুলকে আহত অবস্থায় রাতে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে তার পায়ে প্লাস্টার করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। আহত সাইদুলেরর বাড়ি উপজেলার চৌবাড়িয়া এলাকায়। তবে পুলিশ কর্মকর্তা হাফিজ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন সাইদুল ইসলাম জানিয়েছেন, পুত্রবধূর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার ছেলে আসাদুল ইসলামকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আটক করেন এএসআই হাফিজ। পরে তাকে থানায় না নিয়ে হোজা অনন্তকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ছেলেকে ছাড়াতে সেখানেই যান তিনি। এ সময় তার কাছে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন এএসআই হাফিজ। টাকা দিতে না চাওয়ায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন তিনি। এ সময় তার কাছে থাকা ৯০০ টাকা দিতে চান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে তার বাম পা ভেঙে দেন হাফিজ। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। এ ঘটনার পর ওইদিন গভীর রাতে তার ছেলে আসাদুলকে ছেড়ে দেন এএসআই হাফিজ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার