১৮ জুন, ২০১৯ ১২:৪৪

রংপুর মেডিকেলের অর্থ আত্মসাতের তদন্ত শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুর মেডিকেলের অর্থ আত্মসাতের তদন্ত শুরু

দরপত্রের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রংপুর মেডিকেল কলেজের তৎকালীন কমিটির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে কন্ডাক্টিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাকে দ্রুত স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। 

সচেতন নাগরিক সমাজের অভিযোগের ভিত্তিতে এ তদন্ত শুরু হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ নূর ইসলাম দরপত্র কমিটির বিরুদ্ধে তদন্তের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়োগকৃত কন্ডাক্টিং অফিসার তাকে লিখিতভাবে অবগত করেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, রংপুর মেডিকেল কলেজের ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের ইকুইপমেন্ট অ্যান্ড আদারস ইন্সট্রুমেন্ট, কেমিকেল অ্যান্ড রিএজেন্ট (এমএসআর) ও কম্পিউটার অ্যান্ড আদারস ইন্সট্রুমেন্ট (ক) মনিহারী ও বিবিধ সামগ্রী (খ) খেলাধূলা সামগ্রী, ফার্নিচার (আসবাবপত্র) সামগ্রী এবং বইপত্র সামিয়িকী ক্রয়ের লক্ষ্যে একটি দরপত্র কমিটি গঠন করা হয়।

ওই দরপত্রের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি অধ্যাপক এ কে এম হাবিবুল্লাহ অভিযোগ আকারে একটি আবেদনপত্র স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) বরাবর দাখিল করেন।

এরই প্রেক্ষিতে ২৬ মে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে কন্ডাক্টিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং কন্ডাক্টিং অফিসার অধ্যাপক ডা. কান্তা রায় রিমি বলেন, রংপুর মেডিকেল কলেজের তৎকালীন দরপত্র কমিটির বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য তাকে কন্ডাক্টিং অফিসার হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে গত ১ জুন রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নূর ইসলাম জানিয়েছেন। তদন্ত কমিটির কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। তারা অল্প সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করবেন।

রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নূর ইসলাম বলেন, কমিটির পক্ষ থেকে কোনও দুর্নীতি করা হয়নি। বিগত দিনের চেয়ে তার সময়ে মেডিকেল কলেজে সবচেয়ে বেশি উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, দরপত্র কমিটির কাছে যেসব কাগজ চাওয়া হয়েছে তা দ্রুত কন্ডাক্টিং অফিসারকে সরবরাহ করা হবে।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ইকুইপমেন্ট অ্যান্ড আদারস ইন্সট্রুমেন্ট, কেমিকেল অ্যান্ড রিএজেন্ট (এমএসআর) ও কম্পিউটার অ্যান্ড আদারস ইন্সট্রুমেন্ট (ক) মনিহারী ও বিবিধ সামগ্রী (খ) খেলাধূলা সামগ্রী, ফার্নিচার (আসবাবপত্র) সামগ্রী এবং বইপত্র সাময়িকী ক্রয়ের লক্ষ্যে গঠিত সাত সদস্য বিশিষ্ট দরপত্র কমিটির সভাপতি ছিলেন রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর