শিরোনাম
- সিরিজ শুরুর আগেই স্কোয়াডে পরিবর্তন অস্ট্রেলিয়ার
- বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে ভারত: রিপোর্ট
- ক্লাব ফুটবলে নেই আগ্রহ, অন্য কিছুতে নজর ডাচ কোচের
- অনুপ্রেরণার আলো ছড়ালেন হৃতিক
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১১০
- ফের দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা
- ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি
- যৌন হয়রানি: শিক্ষকের শাস্তি না হওয়ায় নিজেকে জ্বালিয়ে দিলেন ছাত্রী
- সিনেমার প্রভাবে কেরালার স্কুলে আর নেই ব্যাকবেঞ্চার
- 'আর্থিক সংকটে' বন্ধ আল জাজিরা বলকানসের সম্প্রচার
- যশোরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
- পেন বাংলাদেশের নেতৃত্বে সামসাদ মোর্তুজা ও জাহানারা পারভীন
- দেশে সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন বেড়েছে: মির্জা আব্বাস
- হবিগঞ্জে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
- খুতবার সময় হামলা, খতিব শঙ্কামুক্ত, হামলাকারী জেলহাজতে
- দেড় মাস পর বাংলাদেশির লাশ ফেরত দিল ভারত
- সোহাগ হত্যার ভিডিও না আসা পর্যন্ত সরকার কী করল-প্রশ্ন রুমিন ফারহানার
- ঢাকায় ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে বগুড়ায় বিক্ষোভ
- আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জাবিতে মশাল মিছিল
- ২০৩০ বিশ্বকাপ ভেন্যুর তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহার মালাগার
রাজশাহী বিএনপির কমিটি বাতিল, আহ্বায়ক নিয়ে তৃণমূলে ক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন

আজ (শুক্রবার) হঠাৎ-ই বাতিল করা হয়েছে জেলা বিএনপির কমিটি। আগের কমিটি বাতিল করে গঠন করা হয়েছে আহ্বায়ক কমিটি। এই কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে বিএনপির বিতর্কিত নেতা আবু সাইদ চাঁদকে। নতুন আহ্বায়ক কমিটিতে যাদের নাম আছে তাদের অনেকেই রাজনীতিতে চাঁদের সিনিয়র। ফলে দ্বন্দ্ব নিরসনের চেয়ে বাড়বে বলে মনে করছেন বিএনপি নেতারা।
রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদের বিরুদ্ধে আছে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সামনে কালো পতাকা পরিদর্শনের অভিযোগ। এছাড়া হত্যাচেষ্টাসহ ২২টি মামলা আছে তার বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্র পুড়িয়ে দেওয়ার মামলাও আছে।
এছাড়া ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগের কমিটির চেয়ে এই কমিটি আরও ব্যর্থ কমিটি হবে। আহ্বায়ক কমিটির অনেকেই দীর্ঘদিন রাজনীতির বাইরে। তাদের মাধ্যমে দলের কর্মীদের কোনো মূল্যায়ন হওয়া সম্ভব না।’
জেলা বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ছিলেন সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফা। তিনি জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন দীর্ঘ কয়েক বছর। ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঘোষিত কমিটি থেকে বাদ পড়েন নাদিম। এরপর নতুন কমিটিতে তোফাজ্জল হোসেন তপু সভাপতি ও মতিউর রহমান মন্টু সাধারণ সম্পাদক পদ পান। কিন্তু তারাও কোনো চমক দেখাতে পারেননি। আন্দোলন-সংগ্রামে একেবারেই নিস্ক্রিয় ছিল জেলা বিএনপি। মাঝেমধ্যে সভা আহ্বান করা হলেও নিজেরাই কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে হট্টগোলে জড়িয়ে পড়েছেন।
মেয়াদ পার হয়েছে ৬ মাস আগে। তবে নতুন কমিটির আহ্বায়ক নিয়ে ক্ষোভ আছে তৃণমূলের নেতাদের। সদ্য বাতিল হওয়া কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল বলেন, দল যা ভালো মনে করেছে, তাই করেছে। এ নিয়ে মন্তব্য করার কিছু নেই।
সাংগঠনিক গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, ‘আহ্বায়ক সবাইকে নিয়ে দল গোছাতে পারলে ভালো। আমরা সহযোগিতা করবো।’
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নেতা জানিয়েছেন, এই দলের সভাপতি অথবা আহ্বায়ক ছিলেন এমরান আলী সরকার, অ্যাড. কবীর হোসেন, এখলাক হোসেন, আবদুল হাই, নাদিম মোস্তফার মতো আইনজীবীরা। সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন আইনজীবী। তাদের জায়গায় নতুন আহ্বায়ক নিয়ে বিব্রত তৃণমূলের বহু নেতা।
সদ্য বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টু বলেন, ‘দল যা ভালো মনে করেছে, সেটা করেছে। আমরাও চাই দল ভালো করুক। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
এই বিভাগের আরও খবর