নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দেওভোগের হাশেম নগর এলাকায় রিকশা গ্যারেজ মাহজন শাকিলকে (৩০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার রাতের এ ঘটনায় রবিবার দুপুরে নিহতের ভাই সাঈদ বাদি হয়ে মুখোশধারী ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত শাকিল দেওভোগ পূর্বনগর এলাকার মৃত আমান উল্লাহর ছেলে। ঘটনার সময়ে আহত হন শাওন, সজিব ও সুভাষসহ ৬ জন।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, মোটরসাইকেলের লাইট চোখে লাগার মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত ১১টার দিকে দেওভোগ হাশেম নগর এলাকায় একদল যুবক সুভাষের মোটরসাইকেলের পথরোধ করে তাকে এলোপাথাড়ি কোপায়। এ সময় আশপাশে থাকা রিকশা গ্যারেজের মাহজন শাকিল ও তার আত্মীয় সজিবসহ আরো কয়েকজন ছুটে আসলে তাদেরও এলোপাথাড়ি কোপায়। তবে কি কারণে তারা এভাবে কুপিয়েছে তা আহতরাও বলতে পারেনি। এ ঘটনায় নিহত শাকিলের বড় ভাই সাঈদ বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
মামলার বাদী সাইদ জানান, হাশেম নগর এলাকায় আমার ছোট ভাই শাকিলের একটি রিকশা গ্যারেজ আছে। ঘটনার সময় সে তার গ্যারেজেই ছিলো। ডাকচিৎকার শুনে বাহিরে বের হতেই সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই।
আহতদের মধ্যে সুভাষ জানান, তিনি শহরের ২নং রেলগেইট এলাকা থেকে বাংলাবাজার বাসায় মোটরসাইকেল যোগে রাত ১১টায় ফেরার পথে দেওভোগ হাশেম নগর এলাকায় একদল যুবক পথরোধ করে এলোপাথাড়ি কোপায়। এ সময় আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে তাদেরও অনেককে এলোপাথাড়ি কোপায়।
স্থানীয়রা জানান, চান্দু, নিক্সন, তুহিনসহ বেশ কয়েকজন মুখোশ পরে সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলো। তখন এক ব্যক্তি মোটর সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল। ওই সময় মোটর সাইকেলের লাইটের আলো দাঁড়িয়ে থাকা মুখোশধারীদের চোখে পড়ে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোটর সাইকেল আরোহীর উপর প্রথমে তারা হামলা চালায়। পরে আশপাশের লোকজনদেরও কোপায়।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব