রাজশাহীর দুর্গাপুরের শাকিলা বেগম গলার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন চিকিৎসক দেখাতে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. আমিনুল ইসলাম সব দেখে একটি পরীক্ষা করাতে বলেন। চিকিৎসক শাকিলাকে গলার একটি পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থাপত্রও দেন।
কিন্তু চিকিৎসকের কক্ষ থেকে বের হয়ে শাকিলা পড়েন দালালের খপ্পড়ে। সেই দালাল তাকে যে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়, সেখানে পরীক্ষাও করা হয়। কিন্তু পুনরায় ডা. আমিনুল ইসলামের কাছে পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে আসার পর শাকিলা জানতে পারেন তাকে গলার নয়, রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে মাথার। যা তিনি করেননি।
এ ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে।
এ বিষয়ে শাকিলা জানান, আগেও চিকিৎসক দেখিয়েছেন। কিন্তু গলার সমস্যা কমছিল না। এ কারণে তিনি আবার এসেছিলেন। তখন চিকিৎসক তাকে গলার লালা গ্রন্থির একটা পরীক্ষা করাতে বলেন। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী বাইরে বের হতেই একজন তাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গেটের সামনে ল্যাব কেয়ার ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার গলার পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে আবারও চিকিৎসকের কাছে গেলে তাকে জানানো হয়, এটি গলার রিপোর্ট নয়, মাথার রিপোর্ট।
ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘রোগীর গলার লালা গ্রন্থিতে সমস্যা থাকায় গ্রন্থিটা ফুলে গেছে। আমি পরীক্ষা করে চিকিৎসা দিতাম। কিন্তু রোগী পরীক্ষার রিপোর্ট এনেছিল বাইরে থেকে যার পুরোটাই ভুল। অনেক দৌড়াদৌড়ি করে রোগীটা ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল। তাই অন্য দিন আসতে বললাম এবং ভালো কোথাও পরীক্ষা করাতে বলেছি। আপাতত কিছু ওষুধ লিখে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে নগরীর ল্যাব কেয়ার ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সে গিয়ে জানতে চাইলে রিসিপশনে থাকা কয়েকজন জানান, ‘আমরা যা রিপোর্ট দিয়েছি, তাই ডাক্তার লিখে দিয়েছে। আমরা ভুল রিপোর্ট দেইনি।’
একটু পরেই কয়েকজন দালাল এসে জানালেন, বিকালে তাদের পরিচিত চিকিৎসক বসবে, ওই রোগী চাইলে টাকা ছাড়াই তাকে দেখিয়ে দেওয়া হবে।
রাজশাহী ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রোগী তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ জানালে তারা অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন