ঈদে বাড়ি ফেরার পথে রাজশাহী সিটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ফারদিন আশারিয়া রাব্বিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার ভোরে মহানগরীর হেতেমখাঁ ও বর্ণালীর মোড় এালাকার মাঝামাঝি সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাব্বির বাড়ি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানার মমিনপুর গ্রামে।
মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে নিহত কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, নাকি ছিনতাইকারীদের আঘাতে রাব্বি নিহত হয়েছেন প্রাথমিকভাবে তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। বর্তমানে এ ব্যাপারে ওই এলাকার আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, মরদেহ উদ্ধারের সময় তার সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এ সময় রাব্বির মাথার উপরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে। মাথা থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্থানীয়রা পুলিশকে জানিয়েছেন, ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য কলেজছাত্র রাব্বি ট্রেন ধরতে রেলওয়ে স্টেশনে যাচ্ছিলেন। ভোরে ফজরের আযানের পর পরই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যার পর সেখানে মরদেহ ফেলে রেখে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই তার ব্যাগ, মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন পড়েছিল।
উপ-কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, তার পরিচয় শনাক্তের পর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। বাড়ি যাওয়ার আগে রাব্বি রওনা দেওয়ার কথা পরিবারকে জানিয়েছিলেন। ভোরে ছাত্রাবাস থেকে বের হওয়ার সময় বোনের সঙ্গে কথা হয়েছিল তার। বোনের সঙ্গে কথা বলার কিছুক্ষণ পর পরই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে পরিবারের সদস্যরা বারবার তার মেবাইলে ফোন করেও পাচ্ছিলেন না।
মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের কাছে পাওয়া তার মোবাইল ফোন থেকেই রাব্বির পরিবারের সঙ্গে কথা হয় পুলিশের। আর পুলিশের কাছে থেকেই পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন যে, রাব্বি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এরই মধ্যে তারা রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি। তবে অভিযান শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হবে বলেও জানান মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন